তাতে ছবির নায়কের পোজ দেখে প্রযোজক ও পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যানারের ছবিটি দেখিয়ে বলেন, ‘এই ছেলেটাকে আমার বাঙ্গালী মনে হয় না।
অনেকটা জেমস বন্ড নায়কের মত লাগছে।’ এফডিসি প্রাঙ্গন থেকে এভাবে একটা ‘ধারণা’ তৈরি হচ্ছে নবাগত নায়ক সেজান দেওয়ান-কে নিয়ে। হয়তো এই ধারণা এক সময় ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়বে সারা দেশে।
‘দেশ নায়ক: দি হিরো’ – দেশপ্রেম নির্ভর দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবিরোধী একটি ছবি। সেজান দেওয়ান। তার বিপরীতে একজন নবাগত নায়িকাও নেওয়া হয়েছে। তিনি হলেন অনামিকা জুলিয়েট।
এর মানে বজলুর রাশেদ চৌধুরী এ ছবিতে এক জোড়া নতুন মুখ উপহার দিতে যাচ্ছেন। ছবিটিতে দুর্দান্ত কিছু অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে এবং প্রেমের দৃশ্যগুলোও রোমাঞ্চকর রোমান্টিক করে তোলা হয়েছে বলে জানালেন নবাগত এই নায়ক।
এক সাক্ষাৎকারে নবাগত সেজান দেওয়ান বলেন, ‘অ্যাকশন দৃশ্যগুলোকে প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য আমি ছয় মাস নিয়মিত জিম করেছি এবং আমার বাবা (ছবিটির প্রযোজক) বিপ্লব দেওয়ানের কাছ থেকে জুডো ও ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিয়েছি।
আমার বাবা, মা গায়িকা শম্পা দেওয়ান এবং আমার ছোট ভাইও এই ছবিতে অভিনয় করেছে। অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দর্শকের ভালো লাগবে।
’ তিনি বলেন, ‘রোমান্টিক দৃশ্যগুলো বাস্তব থেকেও বাস্তবিক করে তোলার চেষ্টা করেছি। এজন্য নায়িকা অনামিকা জুয়েটের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
আমরা পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করেছি। ছবিটির প্রথম দৃশ্য থেকে শেষ দৃশ্য পর্যন্ত দর্শকের কাছে উপভোগ্য করে তোলার প্রাণান্ত চেষ্টা করেছি আমরা। আমাদের ইউনিট এবং আমাদের পরিচালক কতটা সফল হয়েছেন, সে বিবেচনা দর্শকের।
’ সেজান বলেন, ‘দেশ নায়ক: দি হিরো ছবিটি আমার প্রথম হলেও আমি চলচ্চিত্রে অভিনয় অব্যাহত রাখব। আমার পরের ছবিরও প্রস্তুতি চলছে।
সেটিও উপভোগ্য উপাদানে সাজানো হবে। এই মুহূর্তে দর্শকানুকূল্য পাওয়ার মত ছবি দরকার। হয়তো তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে দেশ নায়ক: দি হিরো।’
Leave a Reply