সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উলভার্টের সেঞ্চুরি ম্লান করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের দুর্দান্ত জয় দাঙ্গা-ফ্যাসাদে না জড়াতে কর্মীদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন সেলিমুজ্জামান ধানের চেয়ে খড়ের মূল্য এখন বেশি ইসির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপিকে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমদের জন্য এলো সুখবর দুদকের মামলা: সরকারি তেল কোম্পানির ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বিশেষ প্রিজন ভ্যানে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হলো ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে রাজৈরে শহীদ মিনার ভাঙচুর করে ঘর তোলার চেষ্টা, এলাকায় উত্তেজনা

হাতের কাজেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেয়ে শরিফা এখন সফল উদ্যোক্তা

শাকিল রেজা
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১
  • ৪১২ Time View

সময়টা ছিল ২০০৫ এর দিকের। অনলাইন বিজনেসের হাতেখড়ি হয়েছিল সেই বছরেই। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে শরিফাতুন্নেসা শরিফার অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে, মাও হয়ে যান তাড়াতাড়ি। বাচ্চা হবার পর বাচ্চাকে রেখে পড়াশোনা করতে যাওয়ার মতো সাহস বা সাপোর্ট কোনটাই ছিলো না তার। কিন্তু ঘরে এভাবে আর কতদিন বসে থাকা যায়! তাই, ঘরে বসেই কিছু করা যায় কিনা এমন চিন্তা থেকেই তিনি খুলে বসেন একটি ফেসবুক পেজ। মেয়ের নামে সে পেজের নাম দেন “আয়াত কাঁথাঘর” (Ayaat katha ghor)। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেয়ে হওয়ায় নকশিকাঁথার প্রতি ভালোলাগা ও ভাল ধারণা ছিল তার। তাই চিন্তা বেশি না করেই নকশিকাঁথা নিয়েই কাজ শুরু করেন সে।প্রথমে শরিফা তার আম্মুর বাক্স থেকে কিছু নকশিকাঁথা বের করে ছবি তুলে ফেসবুকে কয়েকটা পোস্ট দেয়। সেই ছবি দেওয়ার প্রায় দেড় মাস পরে একটা কাঁথার অর্ডার আসে! তার পেজের প্রথম কাস্টমার হয় সুইডেন প্রবাসি এক আপু সোনিয়া সিদ্দিক। পরিচিত এক প্রতিবেশী ভাবীকে দিয়ে সে কাঁথা সেলাই করিয়ে নিতেন। এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। টুকটাক আরও অর্ডার আসা শুরু হয়।ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ গুলোর মাধ্যমে নিজের পরিচিতি বাড়তে শুরু করলো সে। বাড়তে থাকলো তার কাঁথার জন্য কর্মীও। এখন তার আন্ডারে ১৫-১৬ জন কর্মী ফিল্ডে কাজ করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কাঁথা দিয়ে শুরু করলেও এখন তার কালেকশনে যশোর, জামালপুরের নকশিকাঁথাও আছে। সেখানেও তার জন্য৫-৬ জন কর্মি কাজ করেন। তার নকশিকাঁথা এখন শুধু দেশেই নয় বরং দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশেও পৌঁছে গেছে। আমেরিকা, সুইডেন, কাতার, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশে তার নকশিকাঁথা যাচ্ছে। দেশি পণ্যের সাইট উই থেকে এ পর্যন্ত তার সেল প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। আমাদের এই দেশীয় ঐতিহ্য নিয়ে তার অনেক সপ্ন। সপ্ন দেখে আয়াত কাঁথাঘর (Ayat katha ঘর) এর পণ্য একদিন সবাই চিনবে। শরিফা আশা করেন, সে দিন আর হয়তো বেশি দূরে নয়, যখন দেশ বিদেশে ছড়িয়ে যাবে দেশীয় পণ্য। বাড়বে কর্মসংস্থান, বাড়বে দেশীয় পন্যের চাহিদা, বাড়বে এলাকার সম্মান।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category