এস.কে হিমেল,নীলফামারী প্রতিনিধি:
বিয়ের এক মাস না হতেই নীলফামারীর ডোমারে নববধুঁকে অপহরণ ও ধর্ষণ করে ইমন ইসলাম (২০) নামে এক যুবক। ইমন ইসলাম পূর্ব বোড়াগাড়ী মাল্লিপাড়া আক্তারুজ্জামানের ছেলে। অপহরণের ২৩ দিনের মধ্যে অপহৃত নববধুঁকে উদ্ধার ও দুইজনকে গ্রেফতার করে ডোমার থানার পুলিশ এসআই নিরস্ত্র রিমেল আহমেদ মানিক ও এসআই নিরস্ত্র জামিনুর রহমান। এব্যাপারে নববধূঁর বাবা হামিদুল ইসলাম সোমবার (১ মার্চ) বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ৩ এর ৭/৯/(১)/৩০ ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায়, উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের ঘাটপাড়া এলাকায় হামিদুল ইসলামের মেয়ে শাহানাজ আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী ডিমলা উপজেলার শুকানগঞ্জ বালাপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ ধউলু মিয়ার ছেলে সোনা মিয়ার সাথে। গত ১ ফ্রেবুয়ারী নববধুকে নিয়ে শ্বশুড়বাড়ী বেড়াতে আসার সময় স্ত্রীকে বাজারের মোড়ে রেখে কেনাকাটা করতে গেলে সেখান থেকে কৌশলে সুজন রায়ের সহযোগীতায় শাহানাজকে অপহরণ করে দিনাজপুর খানসামা ও তারপর ঢাকা নিয়ে যায় ইমন ইসলাম এরপর বিয়ের লোভ দেখিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ইচ্ছেমত ধর্ষণ করে। গত ২৫ ফ্রেব্রুয়ারী জলঢাকা থানার ভাদুর দরগায় নামক স্থানে রেখে পালিয়ে যায় ইমন এরপর পুনরায় ২৮ ফ্রেবুয়ারী রবিবার রাতে বোড়াগাড়ী বাজার এলাকায় ইমন ইসলামসহ নববধূঁকে একসাথে দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শাহানাজকে উদ্ধার ও ইমনকে গ্রেফতার করে। ইমনের স্বীকার উক্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে তার সহযোগী সুজন রায় নামে একজনকে গ্রেফতার করে। ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন সোমবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত