হাফিজুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার :
মোছাঃ রাণী খাতুন (৩২), পিতা-মোঃ আব্দুল মজিদ, গ্রাম-ফার্মপাড়া, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে অনুমান ০৭ বছর আগে মোঃ ফিরোজ হোসেন (৩৫), পিতা-মোঃ আব্দুর রহমান, সাং-মাছের দাইড়, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে ১। মোছাঃ ফারিয়া (৭) ও ২। মোছাঃ রেশমি (০৪) নামের ফুটফুটে দুইটি মেয়ে জন্ম গ্রহন করে। অনুমান ০৩ বছর পূর্বে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সংসারে চলমান বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, গত ০১ মাস আগে মোঃ ফিরোজ হোসেন তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পিতার বাড়ীতে তাড়িয়ে দেয়। এমতাবস্থায় মোছাঃ রাণী খাতুন তার ০২টি কন্যা সন্তান ও নিজের অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় উক্ত অভিযোগটি তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এ কর্মরত নারী এএসআই (নিরস্ত্র)/মিতা রানী বিশ্বাস’কে দিলে তিনি উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ ফিরোজ হোসেন তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মোছাঃ রাণী খাতুন’কে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পুনরায় স্বামীর মর্যাদা প্রদানসহ সংসার করতে সম্মত হয়। ফলে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর হস্তক্ষেপে ফারিয়া ও রেশমি ফিরে পেল তার বাবার আদর স্নেহ। অন্য দিকে মোছাঃ রাণী খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার।
Leave a Reply