উত্তর জাপানের হোক্কাইডো প্রদেশে সুনামির প্রথম ঢেউ আঘাত হেনেছে। জাপানের এনএইচকে ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, ঢেউটির উচ্চতা ছিল প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার (এক ফুট)। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, এ ঢেউ অন্যান্য এলাকাতেও আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে আলজাজিরার খবরে বলা হয়, প্রথম ঢেউটি হোক্কাইডোর হানাসাকি বন্দরে পৌঁছেছে। তবে সামনে আরও বড় এবং বিধ্বংসী ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে। এ সুনামির সূত্রপাত রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপে সংঘটিত ৮.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প থেকে, যা সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ কম্পন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
যদিও প্রথম ঢেউ তুলনামূলকভাবে ছোট ছিল, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, সুনামির ঢেউ সাধারণ সাগর ঢেউয়ের তুলনায় অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক। মাত্র ৫০ সেন্টিমিটার উঁচু একটি ঢেউ ২০০ কেজি (৪৪১ পাউন্ড) পর্যন্ত ধাক্কা দিতে পারে—যা একজন প্রাপ্তবয়স্ককে ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করেছে, দেশটির কিছু এলাকায় সুনামির ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (প্রায় ১০ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে।
রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে প্রায় ৪ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা গেছে। এখনো কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি মূল্যায়নে কাজ করছে। একই সঙ্গে আশঙ্কা করা হচ্ছে, পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বড় ধরনের আফটারশকও ঘটতে পারে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল পেট্রোপাভলভস্ক-কামচাটস্কি শহর থেকে প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার (৮৪ মাইল) পূর্বে।