বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ সন্ত্রাস, সহিংসতা বা অসদাচরণ করলে সঙ্গে সঙ্গেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের পক্ষ থেকে কোনোভাবেই এমন কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। সেখানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, “দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ যদি কোনো অবৈধ, অনৈতিক বা সহিংস কাজ করে, তার বিরুদ্ধে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে ভিডিও-অডিও প্রমাণের ভিত্তিতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।”
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায়ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন:
চিলমারী (কুড়িগ্রাম): কমিটি গঠন নিয়ে সহিংসতায় জড়িত থাকায় উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদ হোসেন পাখি ও সদস্য আবদুল মতির শিরিনকে সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা দক্ষিণ: কোতোয়ালি থানার পাছথুবী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
ভোলা (তজুমদ্দিন): চাঁচড়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হাওলাদার এক মহিলা নেত্রীকে মারধর করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পাটগ্রাম: থানায় ভাঙচুর ও আটককৃতদের ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তদন্ত চলছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা (বনানী): যুবদল নেতা মুনির হোসেনের নেতৃত্বে নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে এ ধরনের প্রতিটি ঘটনার বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা চাই, আমাদের নেতাকর্মীরা সদাচরণ করবেন, সমাজে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়বেন। যারা রাজনীতি করেন, তারা যেন সমাজের কাছে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হন।”
তিনি আরও বলেন, “সারা দেশে কোথায় কী ঘটছে, আমরা খোঁজ নিচ্ছি এবং যাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিএনপি এ বিষয়ে একেবারেই আপসহীন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন।”
Leave a Reply