বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞার অনুরোধ করবে ইউক্রেন, ইইউকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান
রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চল থেকে ‘চুরি হওয়া গম’ বাংলাদেশে রপ্তানি হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ জানাতে যাচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির অভিযোগ, একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কোনো প্রতিক্রিয়া না দেওয়ায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনের অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি অঞ্চলগুলো থেকে গম সংগ্রহ করে রাশিয়া তা নিজেদের গমের সঙ্গে মিশিয়ে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে। এই রপ্তানির গন্তব্যের তালিকায় বাংলাদেশের নামও রয়েছে।
ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক রয়টার্সকে জানান, নয়াদিল্লিতে ইউক্রেন দূতাবাস বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে, যাতে রাশিয়ার কাভকাজ বন্দর থেকে পাঠানো ১ লাখ ৫০ হাজার টনেরও বেশি ‘চুরি হওয়া গম’ প্রত্যাখ্যানের অনুরোধ করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ঢাকার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
পোলিশচুক আরও বলেন, ইউক্রেনের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার কোম্পানিগুলো দখলকৃত এলাকা থেকে সংগৃহীত গম রুশ উৎপাদিত গমের সঙ্গে মিশিয়ে রপ্তানি করছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ দাবি করে তিনি জানান, ইউক্রেন এই বিষয়ে তাদের তদন্তের ফলাফল ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে তুলে ধরবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাবে।
অন্যদিকে, রুশ কর্তৃপক্ষের দাবি, যেসব অঞ্চল থেকে এই গম সংগ্রহ করা হয়েছে, সেগুলো এখন রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত এবং সেখানে ‘চুরির’ কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
রয়টার্স জানায়, এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশের এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো জবাব দেয়নি।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত