জাম খেলে পেট ঠান্ডা থাকে এবং হজমশক্তি বাড়ে। এটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। জাম অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান সমৃদ্ধ, যা জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুখ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। হিমোগ্লোবিন কম থাকলে জাম খাওয়া বেশ উপকারী।
গ্রীষ্মের জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর ফল জাম। এর কালচে-বেগুনি রঙের টক-মিষ্টি স্বাদ ও অসংখ্য ওষধিগুণ রয়েছে। চলুন দেখে নিই এর উপকারিতাগুলি—
জামে থাকা ‘জ্যামবোলিন’ ও ‘জ্যামোসিন’ উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। জাম ও এর বিচি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে।
জামে ফাইবার ও ট্যানিন থাকায় হজমশক্তি ভালো হয়। এটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া প্রতিরোধে সহায়ক।
জামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টক্সিন দূর করে রক্তকে বিশুদ্ধ রাখে। ফলে ত্বকও উজ্জ্বল ও সতেজ থাকে।
জামে ভিটামিন সি, ফেনলিক যৌগ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
জামে ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার বেশি থাকায় ক্ষুধা কমায় এবং পেট ভরিয়ে রাখে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
জামের অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের ব্রণ, ফুসকুড়ি ও চুলকানির উপশমে কার্যকর।
জামের প্রাকৃতিক ডাইইউরেটিক উপাদান প্রস্রাবের জ্বালা ও সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে।
জাম চিবালে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, মাড়ি শক্ত হয় এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমায়। এটি প্রাকৃতিক মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে।
জামে আয়রন থাকায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে। তাই রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ার রোগীদের জন্য এটি উপকারী।
জামে ডিটক্সিফায়িং উপাদান থাকে, যা শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে লিভার ও কিডনিকে সুস্থ রাখে।
জামের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং ত্বক ও প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
আয়ুর্বেদ মতে, জাম শরীর ঠান্ডা রাখে এবং জ্বর ও অভ্যন্তরীণ প্রদাহ দূর করতে সহায়তা করে।
জামের পাশাপাশি এর পাতা, বিচি, ছাল ও ডালও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিক, ঠান্ডা লাগা বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই পরিমাণমতো খাওয়া উচিত।
Leave a Reply