বিশ্ববাজারে এক মাসের মধ্যে সোনার দাম গতকাল মঙ্গলবার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায়। তবে আজ (৪ জুন) সকালে দুবাইয়ে এই দাম কিছুটা কমেছে। মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা সোনাকে নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দামের ওঠানামার পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ ও প্রভাব। খবরটি দিয়েছে খালিজ টাইমস।
দুবাইয়ে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম বর্তমানে প্রতি গ্রামে ৪০৪.৫ দিরহাম, যা মঙ্গলবারের ৪০৬ দিরহামের চেয়ে সামান্য কম। মঙ্গলবার সোনার দাম ১০ দিরহাম বেড়ে প্রায় চার সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। একইভাবে ২২, ২১ এবং ১৮ ক্যারেট সোনার দামও কিছুটা কমেছে, যথাক্রমে ৩৭৪.৫, ৩৫৫ এবং ৩০৭.৭৫ দিরহামে নেমেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ডের দাম ৩,৩৫৪.৫৯ মার্কিন ডলার প্রতি আউন্সে স্থিতিশীল রয়েছে, যা ০.০৭ শতাংশ বেড়েছে। মার্কিন-চীন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে।
এমইএনএর সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক রানিয়া গুলে বলেন, “সোনার দাম এখন বেশ ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার দাম ৩,৪০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর কিছুটা কমেছে। তবে এটা সাময়িক বিরতি, যা দীর্ঘমেয়াদি বুলিশ প্রবণতায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বর্ধিত বাণিজ্য উত্তেজনা, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য নীতিগত পরিবর্তন সোনাকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পরিণত করেছে। এই সামান্য দামের পতনকে মধ্যমেয়াদি ক্রয়ের সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত।”
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশে বাড়ানোর ঘোষণা বাজারে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এর ফলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা আবারও জেগেছে।
রানিয়া গুলে আরও যোগ করেন, “বাজার কেবল পরিসংখ্যান নয়, রাজনৈতিক ইঙ্গিতের প্রতিক্রিয়াতেও সংবেদনশীল। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই সোনার চাহিদা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেড়েছে। তবে মার্কিন ডলারের ওঠানামার কারণে দাম সাময়িকভাবে কমতে পারে।”
Leave a Reply