জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রেরিত এক বাণীতে বাংলাদেশ সাপোর্টার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা, রাষ্ট্রচিন্তক ও গবেষক, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধা ক্লিন্টন হাওলাদার পাভেল বলেন:

“সাম্য, মানবতা, প্রেম ও প্রকৃতির কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন আমাদের জাতির জন্য এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস। তাঁর সৃষ্টিশীলতা, সংগ্রামী জীবন এবং সাহিত্য কর্ম বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে আলো জ্বালিয়েছিল। অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার যে স্বপ্ন নজরুল দেখতেন, তা আজও আমাদের পথপ্রদর্শক।”

তিনি বলেন, “নজরুল কেবল একজন কবি ছিলেন না, তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। তাঁর লেখা গান ও কবিতা শুধু ১৯৪৭ বা ১৯৭১-এর আন্দোলনেই নয়, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানেও মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর রচনাবলি মনে করিয়ে দেয়, যেন তিনি নিজেই আন্দোলনের অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নজরুল আমাদের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এই নজরুলময় বাংলাদেশ গড়তে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

হাওলাদার পাভেল আরও বলেন, “১৮৯৯ সালের ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া নজরুল ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী ও সংগ্রামী। তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার, উপন্যাসিক ও সাংবাদিক ছিলেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে বিদ্রোহ, মানবিকতা ও প্রগতিশীল চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে। হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের প্রতীক এই কবির গানে যেমন ইসলামী ভাবধারা ছিল, তেমনি শ্যামাসঙ্গীতও সমানভাবে জনপ্রিয়।”

তিনি বলেন, “নজরুলের জন্মদিন কেবল একটি স্মরণ দিবস নয়, এটি একটি প্রেরণার উৎস। এ দিনে দেশের নানা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে কবিকে স্মরণ করে আয়োজন করা হয় আবৃত্তি, গান, নাটক, আলোচনা সভা ও রচনা প্রতিযোগিতার মতো নানা অনুষ্ঠান। এটি পরিণত হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশে।”

শেষে তিনি বলেন, “বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতিতে নজরুলের অবদান অপরিসীম। তিনি ছিলেন নির্ভীক এক কণ্ঠস্বর, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহী শক্তি। আজকের বাংলাদেশ হোক তাঁর স্বপ্নের মতো—সমপ্রীতি, সাম্য ও মানবিক মূল্যবোধে উজ্জ্বল এক অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র।”

আপনি চাইলে এই পুনর্লিখিত পাঠ্যটি সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারযোগ্য পোস্ট বা বক্তৃতার খসড়া হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে আরেকটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণও তৈরি করা যেতে পারে।