বাংলাদেশের দিকে দিকে আক্রান্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের উপর প্রতিনিয়ত চলছে মন্দির ও বাড়িঘর ভাংচুর সহ লুটপাটের ঘটনা।
এবার এমনি একটি প্রতিমা ভাংচুরের সাক্ষী হলো গোপালগঞ্জ জেলার, জলিরপাড় ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের রবি সরকারের (৪৮)পরিবার। ২রা ফেব্রুয়ারী রোজ রবিবার ২০২৫ রাত পোহালের স্বরসতী পুজো।
সবার মনে পুজোর আমেজ। তাইতো ১ লা ফেব্রুয়ারী শনিবার থেকেই চলছে পুজোর আয়োজন। বাড়িতে প্রতিমা আনা থেকে শুরু করে পূজোর প্রত্যেক টা উপকরণ একত্রিত করা। দিন শেষে পূজা মণ্ডপে প্রতিমা ও পুজোর উপকরণ একত্রিত করা হলো।
কিন্তু মধ্যরাতে স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে কয়েকজন ছাত্র এসে ভেঙ্গে ফেলে দেবী স্বরসতীর মূর্তি ও নষ্ট করে দেয় পূজোর সব উপকরণ। রবি সরকার (বাড়ির কর্তা ও পুজোর আয়োজক) ও তার পরিবারের লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। তাদের পরনে ছিলো সাদা পোশাক (পাঞ্জাবি ও পায়জামা) এবং মাথায় টুপি পরিহিত। সংখ্যায় ছিলো ৩ জন।
রবি সরকার ধারোনা করছেন তারা স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র(শান্তিপুর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা) প্রত্যেকের বয়স আনুমানিক ১৮-২১ এর মাঝামাঝি হবে। কিন্তু ততক্ষণে খুব দেরি হয়ে গেছে। চোখের পলেকে সব আনন্দ শেষ। দুষ্কৃতিরা প্রতিমা ভেঙে মাটিতে ফেলে দিয়েছে।এব্যাপারে স্থানীয় সিন্দিয়াঘাট পুলিশ প্রশাসন কে জানানো হলেও মেলেনি কোনো সন্তোষ জনক প্রতিশ্রুতি।
আর সংখ্যালঘু হওয়াতে করতে পারেনি কোনো মুখ খুলে কোনো প্রতিবাদ। রবি সরকার আরো জানান, শান্তিপুর গ্রামের বাকি হিন্দু সম্প্রদায়েরও অই একই অবস্থা। গ্রামবাসীরা আতংকে থাকেন সব সময়।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত