ভারত সরকার বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন শুরু হওয়ার পর তাদের ভিসা কার্যক্রম সীমিত করে দেয়, যা এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জসওয়াল নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ভিসা কার্যক্রমের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি জানান, বর্তমানে সীমিত পরিসরে ভিসা কার্যক্রম চলছে, যেখানে শুধুমাত্র মেডিকেল ও জরুরি প্রয়োজনের ভিসা দেওয়া হচ্ছে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয় এবং পুরোদমে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়, তখন তারা আবার পূর্ণমাত্রায় ভিসা কার্যক্রম শুরু করবে।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর, আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয় যে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা পেতে জটিলতা দেখা দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভিসা পেতে বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আবেদনকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভারত স্পষ্ট করে জানায় যে, আপদকালীন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো ভিসা আপাতত দেওয়া হচ্ছে না।
রণধীর জসওয়াল বলেন, শুধুমাত্র জরুরি এবং চিকিৎসার ভিসা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভিসা কার্যক্রমও স্বাভাবিক হবে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট থেকে ভিসা পরিষেবা বন্ধ ছিল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে অনেক ভারতীয় কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে সেপ্টেম্বরে জরুরি ভিত্তিতে ভিসা পরিষেবা পুনরায় চালু করা হয়।
ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং খুলনায় সীমিত পরিসরে ভিসা দেওয়া হচ্ছে, তবে শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্য আসা ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত