ইসরায়েল ইহুদিদের পবিত্র উৎসব ‘ইয়োম কিপুর’-এর সময় ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনা করছে, এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি। যদিও এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা।
গত ১ অক্টোবর ইরান থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যা হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসির নেতাদের হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হয়। এর পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেন। ১০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইরানে সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তু নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়ছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যে লেবানন ও গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। ইরানও ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলার সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে।
ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, তেল উৎপাদন কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি এবং ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল হয়তো হামলার মাত্রা কিছুটা কমাতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যে ইরানে সম্ভাব্য হামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে ‘অতিরিক্ত’ প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংসে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
অন্যদিকে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিগুলোতে রকেট ও মিসাইল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে ইসরায়েলি সেনারা হতাহত হয়েছে। ইরান এ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যাতে ইসরায়েলের আকাশসীমা ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা যায়।
‘ইয়োম কিপুর’ ইহুদিদের জন্য বিশেষ একটি দিন, যেখানে তারা উপবাস ও প্রার্থনা করে। তাই এই দিনে ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে, কারণ এটি এমন সময় যখন দেশ কার্যত স্তব্ধ থাকে।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত