জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদর দপ্তরের সামনে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবারের এই সমাবেশে ইতালি আওয়ামী লীগের নেতারা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির-বিএনপি’র মতো সাম্প্রদায়িক শক্তি সারা দেশে হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটতরাজ, মন্দির ও গির্জা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের হত্যা, পুলিশ ও আনসার হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা, সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস এবং বিটিভি সহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করেছে। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচিত সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে।’
‘দেশত্যাগের পর রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী তাবেদাররা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বাড়িটি পুড়িয়ে দিয়েছে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে শাখা কার্যালয়গুলো ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে কয়েকশ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, হত্যা, নৈরাজ্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। দেশে মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই।’
‘এসব ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, হত্যা বন্ধ করতে চেপে বসা অবৈধ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে জাতিসংঘের মহাসচিব ও জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধানের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবালের নেতৃত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— সভাপতি হাদিউল ইসলাম হাদী, সহসভাপতি মো. বাবু ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মাদবর, সাধারণ সম্পাদক জলিল তপদার, রোম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ রফিক, নিতুতনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডি এম শহিদ, সহসভাপতি মাহমুদু হাসান সুজন প্রমুখ।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত