ইসরায়েল গাজার অভিযানের মধ্যে নতুন করে লেবাননে হামলা জোরদার করেছে। শুক্রবার রাতে তারা লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলের রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটি ও পশ্চিম আল-জালিল অঞ্চলের কাবরি বসতিতে ভয়াবহ হামলা চালায়, যেখানে ফাদি-১ ও ফাদি-৩ রকেট ব্যবহার করা হয় বলে আল মায়াদিন টেলিভিশন জানিয়েছে।

শনিবার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিবৃতিতে বলা হয়, এই হামলা গাজায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন এবং লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে।

দক্ষিণ লেবাননে আল মায়াদিনের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, লেবানন থেকে দখলকৃত উত্তর ফিলিস্তিনের দিকে একাধিক রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন বসতিতে সাইরেন বেজে উঠেছে।

ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, হাইফার উত্তর-পূর্বাংশসহ পূর্ব, পশ্চিম এবং মধ্য আল-জালিলের অধিকাংশ এলাকায় সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা লেবানন থেকে আল-জালিল অঞ্চলে নিক্ষিপ্ত ১০টি রকেট শনাক্ত করেছে এবং সেগুলো প্রতিহত করার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।

ফিলিস্তিনে আল মায়াদিনের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং রাতভর এক মিলিয়নেরও বেশি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী সাইরেনের শব্দের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিল।

এই হামলাগুলো লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের ব্যাপক আক্রমণ এবং হিজবুল্লাহ প্রধান হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে করা হয়েছে।