বাংলাদেশের দলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরণের জন্য ১২ দফা দাবি জানিয়েছে দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এবং নাগরিক উদ্যোগসহ অন্যান্য সংগঠন। তারা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার শাহবাগে দলিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে বিডিইআরএম এবং নাগরিক উদ্যোগের আয়োজনে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিডিইআরএমের সভাপতি উত্তম কুমার ভক্ত।
বিডিইআরএমের সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাসের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লুনা নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন কণা, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী ও বিডিইআরএমের প্রধান উপদেষ্টা মানবাধিকারকর্মী জাকির হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা দীপায়ন খীসা, দলিত নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনি রানী দাসসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা উল্লেখ করেন, জন্ম ও পেশার কারণে বাংলাদেশে প্রায় ৭৫ লাখ দলিত জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। শিক্ষা, সামাজিক মর্যাদা, লিঙ্গ সমতা এবং সমঅধিকারের ক্ষেত্রে এই জনগোষ্ঠী অত্যন্ত পিছিয়ে রয়েছে। সংবিধানে সব নাগরিকের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ থাকলেও জাতিভেদ প্রথা ও বৈষম্যমূলক আচরণ এখনো প্রচলিত। নির্দিষ্ট আইন না থাকায় ভুক্তভোগীদের জন্য আদালতের আশ্রয় নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
বক্তারা আরও বলেন, দলিতদের প্রতি বৈষম্য দূরীকরণের জন্য প্রস্তাবিত ‘বৈষম্য বিরোধী বিল-২০২২’ দ্রুত পাস করা জরুরি। পাশাপাশি দলিত জনগোষ্ঠীর বাসস্থান, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। ১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- বৈষম্য বিরোধী আইন সংশোধন করে পাস করা, দলিত কলোনি উচ্ছেদ বন্ধ করা, দলিতদের প্রবেশাধিকারে বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের চাকরির স্থায়ীকরণ ও পে-স্কেল নির্ধারণ, এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দলিতদের জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত