সচেতন নাগরিক সমাজ ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া দুই সদস্যকে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি থেকে অপসারণ এবং ইসলামি স্কলারদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই, যাদের হাতে ছিল বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, যেমন ‘আমাদের সন্তানদের গিনিপিগ বানানো চলবে না’, ‘যৌন শিক্ষা পরিবার দিবে, স্কুল নয়’, ‘পাঠ্যপুস্তকে পশ্চিমা বিকৃত মতবাদ ঢুকানো যাবে না’, ‘বাঁচাতে হবে প্রজন্মকে’ ইত্যাদি।
বক্তারা বলেন, সরকারের কার্যক্রমে ইসলামবিদ্বেষী বিষয়বস্তু পাঠ্যপুস্তকে ঢুকানোর চেষ্টা হচ্ছে, যা অতীতে রাজনৈতিক সরকারের সময়েও ঘটেনি। তারা উল্লেখ করেন, সরকারের বিরুদ্ধে শখানেক আলেম-হাফেজের জীবন হারানোর পর, এখন ইসলামের বিরুদ্ধে এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিপথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) একটি ১০ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে, যা অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।
বক্তারা একটি আল্টিমেটামও দেন, যেখানে আগামী সাত দিনের মধ্যে এ দুই সদস্যকে অপসারণ না করা হলে এনসিটিবি ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুমকি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন ইউনুস, জামায়াতের উলামা পরিষদের সভাপতি ড. খলিলুর রহমান মাদানি, ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদের খতিব মুফতি সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর মোখতার আহমাদ, এবং সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply