গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে পরবর্তী নির্বাচনে ড. ইউনূসের অংশগ্রহণ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এবার তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো পরিকল্পনা নেই তার। নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে ‘ক্লাইমেট-ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ড. ইউনূস এ বিষয়ে বক্তব্য দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, “আমার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। আপনারা আমাকে দেখে কি মনে হয় আমি নির্বাচন করব? আমি নির্বাচন করব না।” তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে চলমান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটান তিনি।
অনুষ্ঠানে তাকে আরও জিজ্ঞেস করা হয়, “আপনার নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সম্ভাবনা নেই?” ড. ইউনূস স্পষ্টভাবে বলেন, “কোনো সম্ভাবনা নেই। এটা আমার জন্য নয়।”
নির্বাচনের সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, “দেশ সংস্কারের জন্য ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী সংস্কার শেষে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানিয়ে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।”
শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যদি তিনি অপরাধ করে থাকেন, তবে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। আপনি নিজেও তো বিচারের কথা বলেছেন, তাই তাকেও সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে আনা উচিত।”
অন্যদিকে, রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, তার মা কবে দেশে ফিরবেন তা পুরোপুরি তার ওপর নির্ভর করছে। তবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তিনি আরও জানান, বর্তমানে তার মূল লক্ষ্য দলের নেতাকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ওপর চালানো অত্যাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো।
জয় আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ দেশে ফিরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত, এবং শেখ হাসিনা ছাত্রদের দাবিকৃত আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
Leave a Reply