বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট আগামী শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কানপুরে শুরু হবে। এর পর ৬ অক্টোবর গোয়ারিয়রে অনুষ্ঠিত হবে দুই দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি। এই দুই ম্যাচের আয়োজন নিয়ে ভারতের একটি ধর্মীয় সংগঠন, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা, হুমকি দিয়েছে।
কানপুরের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি, এবং গোয়ালিয়রে ম্যাচের দিন ‘বন্ধ’ ডাক দিয়েছে। ভারতীয় পুলিশ কানপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা শুরু করেছে, এবং বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংগঠনটির ২০ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ তুলে, মহাসভা কানপুর ও গোয়ালিয়রে ম্যাচ দুটি আয়োজন করতে দিতে চাইছে না।
ভারত সরকার এই দাবির প্রতি আগ্রহী না হলেও, মহাসভা প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে তারা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়, যার ফলে পুলিশের কাছে ২০ সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
কানপুর টেস্টের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে এসিপি হরিশ চন্দর জানিয়েছেন, “আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করছি এবং কোনো কিছু বাদ রাখছি না। পর্যাপ্ত পুলিশ নিয়োজিত রাখতে পারব বলে আত্মবিশ্বাসী।”
গোয়ালিয়রের বনধ সম্পর্কে মহাসভার ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়বীর বলেছেন, “হিন্দু মহাসভা ম্যাচের দিন গোয়ালিয়রে বনধের ডাক দিয়েছে, তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এ বনধের আওতামুক্ত থাকবে।”
বর্তমানে বাংলাদেশ দল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতে রয়েছে। সফরে তারা দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। কানপুরে দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টটি হবে, এরপর তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে গোয়ালিয়র, দিল্লি ও হায়দরাবাদে। গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি বাতিল না হলে উইকেট কুপিয়ে নষ্ট করার হুমকি দিয়েছেন জয়বীর ভরদ্বাজ।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জয়বীর বলেছেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নৃশংসতা চালানো হয়েছে এবং মন্দির ভাঙা হয়েছে। এ কারণে হিন্দু মহাসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে প্রতিবাদ জানানো হবে।”
Leave a Reply