রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সবজির দামে স্বস্তি, চড়া ডিম মুরগির বাজার বিডিআর বিদ্রোহের দিন কী ঘটেছিল, জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান মইন জাতিসংঘ অধিবেশনে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা ৫ আগস্টের পর আরেকটি দল লুটের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: ফয়জুল করীম লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কোটালীপাড়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে রংপুরে শহীদি মার্চ পালন ডিএমপির ১১ উপপুলিশ কমিশনারকে বদলি সচিবদের যেসব নির্দেশনা দিলেন ড. ইউনূস যে কারণে আরএকে সিরামিকের ত্রাণের ১০ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিল বিএনপি

ফিল্ড সুপারভাইজারের রোষানলে পড়ে সর্বস্ব হারালেন এক ইমাম

কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
  • ২৯৯ Time View

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় ধর্মমন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপার ভাইজার (তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী) খন্দকার লুৎফর রহমানের রোষানলে পড়ে মাদ্রাসায় ধর্মীয় শিক্ষকতার চাকুরী, নগর সুন্দরদী মসজিদের ইমামতি ও মক্তব কেন্দ্রীক শিক্ষকতা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেন হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ ওয়ালীউল্লাহ। শুধু তাই নয় স্থানীয় প্রভাবশালীদের হুমকিতে মান সম্মান বাঁচাতে দেড় বছরের শিশু বাচ্চা সহ স্ত্রী পরিবার নিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করতেও বাধ্য হন তিনি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাফেজ মাওলানা মুফতি ওয়ালীউল্লাহ বলেন, আমি একদিন সকালে আমার মসজিদে শিশু বাচ্চাদেরকে কোরআন হাদিসের আলোকে জ্ঞান দিচ্ছিলাম, ঠিক সেই মুহূর্তে মুকসুদপুরের ফিল্ড সুপারভাইজার খন্দকার লুৎফর রহমান স্যার আমার মসজিদে আসেন যেহেতু আমি তাকে চিনি না সেও আমাকে চিনেন না এবং সে মসজিদে প্রবেশ করেও কোন পরিচয় দেননি, আমি বাচ্চাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ায় ব্যস্ত ছিলাম। পরে জানতে পেরে তাকে সাধ্য অনুযায়ী আদবের সহিত কথাবার্তা বলি এবং আমার কোন আচরণে তিনি কষ্ট পেলে ক্ষমা চেয়ে নেই। পরবর্তীতে, তিনি আমি যেই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করি সেই মাদ্রাসার মুহতামিম আব্দুল কাদের সাহেবের নিকট গিয়ে আমার সম্পর্কে ভুলভাল ও অসত্য তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য বলেন। যেহেতু আব্দুল কাদির সাহেবের স্ত্রী ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক একটি মক্তব পরিচালনা করেন এবং সেখান থেকে মাসিক একটি সম্মানী পেয়ে থাকেন। তাই তিনি তার কেন্দ্রটি রক্ষার্থে ফিল্ড সুপারভাইজারের কথায় সম্মত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং আমাকেও ওই মাদ্রাসা থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিতে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে, মানসিক চাপ ও ক্ষোভে এই ঘটনাটি আমি আমার ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করি। পরে এ বিষয়টি দেখে অনেকেই আমাকে সহানুভূতি দেখান। প্রেস সাইফুর রহমান নামে এক সাংবাদিক সেও আমার সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন এবং তার সাথে (ফিল্ড সুপারভাইজার), আমি যেখানে চাকরি করতাম সেই মাদ্রাসার মুহতামিমের সাথে, মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা চুন্নু ঠাকুর, মুকসুদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব কাবির মিয়া স্যারের সাথে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। সেই সাথে সাংবাদিক সাইফুর রহমান ভাই ফিল্ড সুপারভাইজার খন্দকার লুৎফর রহমানের চাহিদা মতে আমার দেওয়া পোস্টটি ডিলিট করতে বলেন। পরে আমি আমার আইডি থেকে সেই পোস্টটি ডিলেট করে দেই। এরপরেও তিনি ক্ষান্ত হননি। ফিল্ড সুপারভাইজার খন্দকার লুৎফর রহমান বিভিন্ন লোকজনকে দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়ায় এবং আমার সম্পর্কে ও সাংবাদিক সাইফুর রহমান ভাই সম্পর্কে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য সাইফুর ভাইয়ের দেওয়া পোস্টে সংযুক্ত করেন। যা রীতিমতো আইসিটি আইনে অপরাধ। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ওই দোষী ফিল্ড সুপারভাইজারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে সাংবাদিক সাইফুর রহমান বলেন, ফিল্ড সুপারভাইজার খন্দকার লুৎফর রহমান ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। আমি তার ভালোর জন্য তার সাথে ভুক্তভোগী ইমামের বিষয়টি মীমাংসার জন্য এগিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এখানে মুনাফিকি আচরণ করেছেন। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আমি দ্রুতই ওই ফিল্ড সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবো। এবিষয়ে অভিযুক্ত ফিল্ড সুপারভাইজার খন্দকার লুৎফর রহমানের মুঠোফোনে ০১৭১৬৯৪৭৫০৩ একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category