monetag
শিক্ষার্থীর মেধাবিকাশে শিক্ষক অভিভাবক ও পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয় জরুরি’ এস এম মিলন ব্যুরো প্রধান খুলনা বিভাগঃ নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে নড়াইল সদরের গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শংকর কুমার পাঠকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন-সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম সুলতান মাহমুদ। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস পাঠকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন-বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন-জেলা ক্রীড়া অফিসার কামরুজ্জামান, জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা বিকাশ কুসুম চক্রবর্তী, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার সজল বিশ্বাস, জেলা শিক্ষা অফিসের প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী জুলকার নাইন, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার রাজু আহমেদ, অভিভাবক সদস্য গকুল চন্দ্র রায়, অজিত কুমার সেন, কল্লোল কুমার গোস্বামী, মিহির কুমার মজুমদার, তৃপ্তি রানী বৈরাগী, বিদ্যুাৎসাহী সদস্য দুলাল চন্দ্র দাস, অভিভাবক-শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশনের (পিটিএ) সভাপতি সঞ্জয় কুমার পালসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে প্রায় ২০০ অভিভাবক অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে দেড় শতাধিক নারী অভিভাবক ছিলেন।
বক্তারা বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত বাস্তবমুখী। শিক্ষার্থীর মেধা অনুযায়ী ভবিষ্যতে কে কোন দিকে ভালো করবে, তা এই শিক্ষা ব্যবস্থা নির্ধারণ করবে। নতুন শিক্ষাক্রম শুধু প্রতিযোগিতামূলক নয়, এটি পারস্পারিক সহযোগিতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা। একজন শিক্ষার্থীর মেধাবিকাশে শিক্ষক, অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটি ছেলে-মেয়ের প্রতি বাবা-মায়ের বিশেষ নজর দিতে হবে।
স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতি নজর রাখতে হবে। অহেতুক কোনো ছাত্রছাত্রী যেন স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অভিভাবকদেরও ছেলে-মেয়েদের সামনে স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহারে ছেলে-মেয়েরা অনেকটা নিরুৎসাহী হবে। বক্তারা আরো বলেন, জেলা শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দুরে গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান হলেও পড়ালেখাসহ সার্বিক মান উন্নয়নে অনেক এগিয়ে আছে বিদ্যালয়টি। ২০২৪ সালে জেলার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া গত বছর জেলার মধ্যে ‘সেরা প্রধান শিক্ষক’ নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্যালয় প্রধান রবীন্দ্রনাথ মন্ডল।
প্রায় প্রতিবছরই এসএসসিতেও শতভাগ পাসের কৃতিত্ব রয়েছে গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। এদিকে, গতকালের সমাবেশে অনেক অভিভাবক তাদের ছেলে-মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর দাবি করলেও প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, আপনারা (অভিভাবক) এমন দাবি করবেন না। আমাদের বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বাড়িতে গিয়ে শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ান না। দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ক্লাস নিবেন। সরকারি নিয়ম মেনে এই বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়াবেন না।
Leave a Reply