রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সবজির দামে স্বস্তি, চড়া ডিম মুরগির বাজার বিডিআর বিদ্রোহের দিন কী ঘটেছিল, জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান মইন জাতিসংঘ অধিবেশনে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা ৫ আগস্টের পর আরেকটি দল লুটের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: ফয়জুল করীম লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কোটালীপাড়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে রংপুরে শহীদি মার্চ পালন ডিএমপির ১১ উপপুলিশ কমিশনারকে বদলি সচিবদের যেসব নির্দেশনা দিলেন ড. ইউনূস যে কারণে আরএকে সিরামিকের ত্রাণের ১০ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিল বিএনপি

গোপালগঞ্জের উরফি ইউনিয়নে এক শিশু শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৫৮ Time View

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ নং উরফি ইউনিয়নে তৃতীয় শ্রেনির এক শিশু শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবারের সাথে পার্শ্ববর্তী সিরাজুল হক কালু মুন্সীর পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে প্রায়ই সে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড করে আসছিলো। এর আগেও ওই পরিবারের সাথে কালু শেখ ও তার লোকজন গন্ডগোল করে বলে এলাকাবাসী জানান।

গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট, আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রোমানা রোজির নেওয়া ভুক্তভোগীর জবানবন্দিতে পাওয়া যায়, অভিযুক্ত সিরাজুল হক কালু প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে সে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে বিরক্ত করতো।তাকে সবসময় তার সাথে যেতে বলতো। তাকে গলা কেটে ফেলবে বলে ভয় দেখিয়ে ও তার বাবার হাত, পা কেটে ফেলার ভয় দেখিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাতাহাতি করতো। ঘটনার দিন সকাল ৭ টার দিকে ভুক্তভোগী তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে কালু মুন্সী তার পথরোধ করে তার গলা কেটে ফেলবে হুমকী দিয়ে বাড়ির পাশের সরকারি পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে তার পরনের কাপড় খুলে ফেলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে কালু মুন্সী। চিৎকার শুনে তার বাবা চলে আসলে কালু মুন্সী পালিয়ে যায়।

পরে এবিষয়ে ভুক্তভোগীর বাবা শাহীন মুন্সী বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬/০১/২০২৪ ইং তারিখ রাত ১০ টায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (৯)(৪) খ মোতাবেক একটি মামলা রুজু হয় মামলা নং-০৬। মামলা হওয়ার দীর্ঘ ১ মাস ১০ দিন পার হলেও আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। সরেজমিনে তদন্তে যাওয়া এস আই সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে, ঘটনার সত্যতা পেলে আসামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগীর দাদী রহিমা বেগম বলেন, আমার নাতির সাথে ওরা যা করেছে আমরা এলাকার সকলের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার তো পাই নাই, উল্টো ওরা আমার ছেলেকে হুমকী দিচ্ছে হাত-পা কেটে ফেলবে। ওদেরকে সাহায্য করছে আমাদের এলাকার মহিলা মেম্বার শেফালী। সে একজন মহিলা হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আল্লাহ তার বিচার করবেন। গনমাধ্যমকর্মীদের একটি টিম সরেজমিনে গেলে মিন্না মুন্সী ও বেল্লাল মুন্সী তেড়ে মারতে আসে ভুক্তভোগীদের ওপর। গোপন সূত্রে জানা, অভিযুক্ত কালু মুন্সী মহিলা মেম্বারের মাধ্যমে সকলকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ব্যাপারটি ধামাচাঁপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ভুক্তভোগী ওই শিশু শিক্ষার্থী সহ তার পরিবারের লোকজন ওদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছে না।

এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category