মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে এক অটোচালক সহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর শহরের পুরান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়,মাদারীপুর শহরে ছাত্রলীগের রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত।একাংশ ঢাকা-৮ আসনের বর্তমান এমপি বাহাউদ্দিন নাছিমের অনুসারী এবং অপর অংশ মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাজাহান খানের অনুসারী। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে বাহাউদ্দিন নাছিমের অনুসারী সুমন কাজীর সঙ্গে শাজাহান খানের অনুসারী সজিব সরদারের হাতাহাতি হয়।
https://youtu.be/lhbmefpmhwM
এরই জের ধরে শহরের পুরান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।পরে পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের রাবার বুলেটে সোহাগ তালুকদার নামে অটোচালক আহত হয়। আহত অটোচালক মাদারীপুর শহরের ফারুক সড়কের দেলোয়ার তালুকদারের ছেলে।
এছাড়াও শাজাহান খানের অনুসারী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার হাওলাদারসহ উভয়পক্ষের আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে,মাদারীপুরের এই হেভিওয়েট দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে দুই নেতার অনুসারীরা বিভক্ত।
বাহাউদ্দিন নাছিমের অনুসারী সুমন কাজী মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং শাজাহান খানের অনুসারী সজিব সরদার জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘গন্ডগোল করছে সজিব সরদার ও সুমন কাজী। এরা দুইজন দুই গ্রুপের অনুসারী। তাদের কারণেই পরে দুই গ্রুপের সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি সালাহ উদ্দিন জানান, 'দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার পরে ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : সবুজ বালা
স্বত্ব © আলোকিত জনপদ মিডিয়া ২০২৪