সাম্প্রতিক চিত্রশাইলে কিশোর গ্যাং এর তান্ডবে দোকানপাট,বিভিন্ন বাড়ি ও আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের অফিস এবং বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, এখানে ইন্টারনেট এর ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই কিশোর গ্যাংয়ের এই তান্ডবের ঘটনাটি ঘটেছে।
উক্ত ঘটনার পর থেকে নয়ন ও খলিল প্রধান এর নিজস্ব ফেইসবুক আইডিত সহ একাধিক আইডিতে দেখা যায় নয়ন গ্রুপ ও খলিল প্রধান গ্রুপ , ইতিপূর্বে উভয় ফ্যামিলি বিএনপির রাজনীতি করতো। আরও জানা যায় খলিল প্রধান ছাত্র দল থেকে গত ট্রামে ছাত্রলীগ ইয়ারপুর ইউনিয়নের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে, বর্তমানে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে রয়েছে এবং বিবাহিত ছাত্রলীগ এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ।
এবং তার পিতা আব্দুল মতিন প্রধান ও অন্য সদস্যরা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। অন্যদিকে নয়ন খাঁন ছাত্র দলের রাজনীতির সাথে জরিত ছিলেন এমন পোস্ট ও করা হয়েছে। এবং নয়ন খাঁনের পিতা মোঃ আব্দুল আলী বর্তমানে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি।
এছাড়া চিত্রশাইল গ্রামে নয়নের বড় মামা বিএনপির মূল রাজনীতির নেতৃত্ব দেন। এবং বর্তমানে তিনি ইয়ারপুর ইউনিয়নের বিএনপির উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছে। নয়নের মেঝ মামা নাজির উদ্দিন ৬ নং ওয়ার্ডের পদধারী বিএনপি নেতা এবং ছোট মামা জামাইত ইসলামের শিবিরের সাথে জড়িত। এবং তার পুরো ফ্যামিলি ও তাদের সকল আত্মীয় স্বজন সকলে বিএনপির রাজনীতিতে জরিত বলে জানা যায়।
সাম্প্রতিক কালে ইন্টারনেট, ডিস লাইন ও অন্যান্য বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার জন্য তারা স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে লোকবল নিয়ে যাতায়াত এবং উভয়ে কিশোর গ্যাং লালন পালন করে উক্ত এলাকায় তান্ডব লীলা চালিয়ে আসছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।
ইতিমধ্যে উক্ত প্রভাবশালী নেতার কাছে নয়ন খাঁন একটু বেশী আস্তাভাজন অর্জন করেছে বলে নেট ব্যবসা সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সে ভোগ করে আসছে। যা বর্তমানে খলিল প্রধান গ্রুপের প্রতিহিংসার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানা যায় । অথচ কিছু দিন আগে নয়ন ও খলিল প্রধান একসাথে সকল কর্মকান্ড পরিচালিত করতো।
বর্তমানে এই নেট ব্যবসার ভাগাভাগি নিয়ে এই দুই গ্রুপের মূল দন্ধ বলে ও জানা যায় । এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আঃলীগ নেতাকর্মীরা জানান বর্তমানে বিএনপি পন্থী এসকল হাইব্রিড নেতারা তাদের অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য আওয়ামী সহযোগী সংগঠনে প্রবেশ করে দলে মধ্যে একটি তান্ডব লীলা শুরু করে দলকে কলঙ্কিত করছে।
এদিকে আঃলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও এলাকার ত্যাগি আওয়ামী নেতা কর্মীরা এসকল হাইব্রিড আঃলীগদের কারণে মুল দলে থেকেও এই সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এজন্যই তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদে এর মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোপ।
আঃলীগের ক্ষমতাশীন প্রভাবশালী নেতারা এই হাইব্রিড বিএনপি থেকে আসা নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ায় সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাশাীন দল আওয়ামী লীগ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল।