স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে চার বছর ধরে ২০ জন ছাত্রীর সাথে প্রতারণা করে আসছিলো এক যুবক। অবশেষে এক ছাত্রীর দায়ের করা পর্নোগ্রাফি আইনে মামলায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বগুড়ার ডিবি পুলিশের সাইবার ইউনিট।

(২৪ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানার চৌধুরীপাড়া তিনমাথার মোড় থেকে তানজিমুল ইসলাম রিওন নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। বগুড়া সদর থানায় এক ছাত্রীর দায়ের করা পর্নোগ্রাফি আইনে মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, রিওন দুপচাঁচিয়া কামরুজ্জামান ডিগ্রি কলেজের বিবিএসের ছাত্র এবং চকদেবপাড়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলাম কবিরাজের ছেলে। ওই যুবক একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। পরে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয় তাঁর কাছ থেকে iphone s মোবাইল ও ২ টি সিম কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ।

বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনস্পেক্টর এমরান মাহমুদ তুহিন জানান, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলার প্রায় ২০ জনের অধিক স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ভিডিও চ্যাট করে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে তাদের ভিডিও ও স্ক্রিনশট নিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিতেন তিনি। তাদের নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে প্রায় চার বছর ধরে এমন ২০ জনেরও অধিক মেয়ের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন।

জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং জব্দকৃত ডিভাইস চেক করে দেখা যায় যে, একাধিক নারীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জনের অধিক মেয়ের শরীরের বিভিন্ন অংশের অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও তার ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারে সংরক্ষিত অবস্থায় আছে। যা অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন যােগাযােগমাধ্যমে ভিডিও কলে কথা বলার সময় স্ক্রিন রেকর্ডারের মাধ্যমে ভিডিওচিত্র ও স্থিরচিত্র ধারণ করে আসছিল। পরে এগুলাে ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেয়াই ছিল তার কাজ।

সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী আরও জানান, তার বিরুদ্ধে সদর থানায় পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।