শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
একসঙ্গে কতটি কোয়েলের ডিম খাওয়া নিরাপদ? হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ঘোষিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন হতাশায় শেষ বাংলাদেশ, জয়ের কাছাকাছি শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের সঙ্গে স্থগিত, বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে আগ্রহী ভারত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কঠোর নির্দেশনা, অমান্য করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে ‘নগদ’-এর নেতৃত্বে নতুন চেয়ারম্যান ডিভোর্সের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া ইউক্রেন বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) অনুরোধ জানাবে।

বাংলাদেশ পুলিশ বেঈমান নয়। ইতিহাস সাক্ষী

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০
  • ৫০৫ Time View

হাফিজুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার : ভারী অস্ত্র আর ট্যাঙ্কের সামনে থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে স্বাধীনতার প্রথম প্রতিরোধ করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। আটশতাধিক পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছিলেন হানাদার প্রতিরোধ করতে গিয়েই। কোন বাহিনীর এত সংখ্যক সদস্য একদিনে শহীদ হননি কখনই। এমনকি পুরো মুক্তিযুদ্ধেও না। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশের তালিকায় ছিলো ইন্সপেক্টর, এসপি, ডি আই জি, আইজিপি পদমর্যাদার অনেক অফিসারগন । কিন্তু অদৃশ্য কারনে পুলিশের কেউই বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব পাননি। এমনকি বীরউত্তম খেতাবও দেয়া হয়নি। # চার দশক পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের অবদান ছিল উপেক্ষিত। ২০১১ সালে পুলিশকে দেয়া হয় স্বাধীনতা পদক। পুলিশের বীর শহীদ কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী জাতির আরেকটা ক্রান্তিকাল ১৫ ই আগস্ট, ১৯৭৫। সেদিন জাতির পিতাকে যখন হত্যা করা হয় সেই ভোররাতে পিজিআর সদস্যরা অস্ত্র হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলো। কিন্তু ধানমন্ডি ৩২ নম্বর আক্রান্ত হলে দায়িত্বরত পুলিশ আত্নসমর্পন না করে গুলি ছুড়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। ঘাতক সেনাদের গুলিতে ঘটনাস্থলে শহীদ হন পুলিশের এ এস আই ছিদ্দিকুর রহমান। গুলিবিদ্ধ হন পুলিশের ডিআইজি অফিসার নুরুল ইসলাম খান। সব পুলিশ সদস্যকে বন্দী করে অস্ত্র কেড়ে নেয় ঘাতকেরা। কিন্তু এই আত্নত্যাগও ইতিহাসে উপেক্ষিত অদৃশ্য কারনেই। বাংলাদেশেরজন্ম থেকে আজ পর্যন্ত যতজন পুলিশ সদস্য আহত নিহত হয়েছেন জনগণের জান মালের নিরাপত্তায়, তা আর কোন বাহিনী কিংবা সার্ভিসের সদস্যের ক্ষেত্রে হয়নি যারা জনগণের পয়সায় বেতন নেন। ২০১৩-১৪ সালের সন্ত্রাস কিংবা হলি আর্টিজন সহ সকল অগণতান্ত্রিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়ছে এই পুলিশকে সামনে থেকে বুক চিতিয়েই। এই করোনার মহামারিতেও ছেলে মাকে,বাবাকে জঙ্গলে রাস্তায় ফেলে যায়। ছেলেমেয়ে আত্নীয় স্বজন লাশ ফেলে রাখে দাফন ছাড়া। কিন্তু পরিবার পরিজনের কথা ভুলে এই পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্বের বাইরে বুক চিতিয়ে দিয়েছে। হ্যাঁ এই পুলিশ আর যাইহোক গর্ব করেই বলতে পারি পুলিশ বেঈমান নয়”। কিন্তু এই আত্মত্যাগ ও ইতিহাসে উল্লেখিত নেই অদৃশ্য এক অজানা কারনেই!! #১৯৫২ ভাষা আন্দোলন। #১৯৭১ স্বাধীনতাবর্ষ। #১৯৭৫ শোকাহতবর্ষ। #২০১১ স্বাধীনতা পদক। #২০২০ করোনাকাল। #২০২০ জন্মশতবর্ষ। বিজয়ের পতাকা আমরাই উড়াবো -সংগ্রহীত

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense