জামালপুর জেলা আসন্ন (স্থানীয় সরকার) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন। ১৯৯৫ সালে কিশোর বয়সে আদারভিটা ইউনিয়ন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির নির্বাচিত হয়ে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৭ সালে আশেক মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ জামালপুরে পড়াকালীন কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হয়ে সততা ও পরিশ্রমের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০০ সালে সরকারি চাকুরি হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী রাজনীতি থেকে বিরত থাকেন তিনি। ২০১৭ সালে চাকুরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করে পুণরায় রাজনীতিতে নিজেকে সক্রিয় করেন।
কো-অপশন এর মাধ্যমে উপজেলা যুবলীগের সদস্য মনোনীত হোন। সবশেষ ২০২০ সালের সম্মেলনের নব-গঠিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে রাজনীতির মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
রাজনীতির পাশাপাশি আমিনুল একাধিক সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত। ২০১২ সালে দক্ষিণ কয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে ওই প্রতিষ্ঠানের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
কয়ড়া বাজার সি,এন,জি মালিক শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক,কয়ড়া যুব সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান, কয়ড়া বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও কয়ড়া টাইগার স্পোর্ট ক্লাবের সভাপতির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ছাড়া নিজেকে সামাজিক, ধর্মীয় এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। করোনা মহামারী যেখানে জীবন থমকে দাড়িয়েছে সেখানে তিনি সাধারণ মানুষের দাঁড়ে দাঁড়ে গিয়ে সাধ্যমত অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের পাশে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আদারভিটা ইউনিয়নবাসীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তিনি। চান নৌকা মার্কার মনোনয়ন। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকেই সর্বমহলে ব্যপক সাড়া পাচ্ছেন তিনি। চা-স্টলে রাজনৈতিক আলাপনে তার আমিনুলের নাম শুনা যাচ্ছে।
আদারভিটা ইউনিয়নের দুধিয়াগাছা এলাকার মধ্যবয়সী ভোটার লিয়াকত আলী বলেন, ইবার ইলেকশনে চিয়েরম্যান হিসেবে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ই যুগ্য।
শিক্ষিত,ভদ্র,জিয়েন মানুষই চিয়েরম্যান হওয়া দরকার। সেই হিসেবে তিনি হইলেই ভালা। দক্ষিণ গজারিয়া এলাকার তরুণ ভোটার বিপ্লব বলেন, এবার প্রার্থী তো অনেক আমার মতে সবার চেয়ে যোগ্য আমিনুল ভাই। কয়ড়া এলাকার নারী বয়াজেষ্ঠ আমেনা বেগম বলেন,আংগেরে আমিনুলেক ছোট্টতনে দেহে আসতাসি মানুষের সাথে দেহা সাক্ষাৎ হলে খুজ খবর নেয়।
শুনলাম ইবার বলে চিয়েরম্যান পদে খারা হবো, চিয়েরম্যান হইলে তো ভালোই হব। অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেলান্দহ – মাদারগঞ্জের ০৬ বারের নির্বাচিত সাংসদ সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী আমাদের সকলের প্রিয় অভিভাবক কর্মবীর জননেতা আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপির নিকট আমার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
তিনি যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে অবশ্যই নৌকার মনোনয়ন দিবেন। আর আমি যদি নৌকা মার্কার মনোনয়ন পাই আমার বিশ্বাস আদারভিটা ইউনিয়বাসী তাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে।
অতীতে মানুষের পাশে থেকেছি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সার্বক্ষণিক আদারভিটা ইউনিয়নবাসীর পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ। এ জন্য সকলের ও সহযোগীতা কামনা করছি।
Leave a Reply