আসন্ন ( স্থানীয় সরকার) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ০৫নং জোড়খালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চান অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিল্পবী সাধারণ সম্পাদক, সাবেক তূখর ছাত্রনেতা মাহফুজুল ইসলাম মাফু।
তিনি ১৯৬৭ সালের ২০ জানুয়ারি অত্র ইউনিয়নের খামার মাগুড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা- কলিম উদ্দিন সরকার, মাতা- মনোয়ারা বেগম। তার পিতা ছিলেন জোড়খালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
দায়িত্ব পালন করেছেন সুনামের সহিত। দায়িত্ব পালন করেছেন জোড়খালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টার। একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান মাহফুজুল ইসলাম মাফু স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। ১৯৮৫ সালে বগুড়ার সারিয়াকান্দি চন্দন বাইসা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তার রাজনীতিতে অভিষেক।
১৯৮৬-১৯৮৭ শিক্ষাবর্ষে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ( পাশা-জাফু পরিষদে) ছাত্রলীগের প্যানেলে সাহিত্য সম্পাদক নির্বাচিত হোন।
দায়িত্ব পালন করে সুনামের সাথে। ছাত্রলীগের রাজনীতি সমাপ্তি করে সরাসরি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে ১৯৯১ সালে জোড়খালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক নির্বাচিত হোন।
পরে ২০০৪ সালে পুণরায় সাংগঠনিক সম্পাদকের নির্বাচিত হয়ে পরিশ্রমের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ ২০১২ সালে সম্মেলন মাধ্যমে জোড়খালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। মাফু তৎকালীন জাতীয় পার্টি ক্ষমতা থাকার সময়ে ছাত্রলীগ করার কারণে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হোন।
সেই সময় ছাত্রদলের ক্যাডার কর্তৃক মিথ্যা মামলার আসামি করা হয় তাকে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ব্যবসায়িকসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হোন তিনি।
একজন খাঁটি আওয়ামীলীগ কর্মী হিসেবে তিনি পুরো মাদারগঞ্জ জুড়ে পরিচিত মুখ। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একাধিক সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন।
চন্দ্রবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ একাধিক মসজিদ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম জোড়খালী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
করোনাকালীন সময়ে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মাস্ক,হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অসহায় হত-দরিদ্রের মাঝে খাদ্য সামুগ্রি বিতরণ করে করোনা যোদ্ধা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এলাকায় জনগনের সুবিধার জন্য নিজ জমিতে রাস্তা করে দিয়ে এক দৃষ্টান্ত নজির স্থাপন করেছেন।
জোড়খালী ইউনিয়নবাসীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করতে ও সার্বক্ষণিক সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
চান নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন। ইতোমধ্যে তিনি জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই তিনি সর্বমহলে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতার্কমীসহ সাধারণ ভোটাররা তাকে ঘিরেই আলোচনা করছেন। ইউনিয়নের হাটমাগুড়া এলাকার ভোটার তারা মিয়া বলেন,মাফু ভাইয়ের বাবা ও চেয়ারম্যান ছিলেন,তিনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন।
তার ছেলে মাফু ভাই চেয়ারম্যান হলে ভালো হয়। কাঠালতলা এলাকার একজন তরণ ভোটার রাকিব হাসান বলেন,মাফু আঙ্কেল এর নাম আগে থেকেই শুনি।
যতটুকি শুনেছি তিনি সেই ছোট বেলা থেকেই আওয়ামীলীগ করে। ফুলজোড় এলাকার একজন নারী ভোটার আমেনা বেগম বলেন,শুনলাম মাফু ভাই নাকি এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ছে।
ভোট এবার তাকেই দিব। দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাফু বলেন, আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে অনেক শ্রম দিয়েছি,সেটি জোড়খালী ইউনিয়নবাসী তথা মাদারগঞ্জ রাজনৈতিক মহলের ব্যক্তিবর্গ সবাই অবগত।
সেই শ্রমের মূল্যায়ন পাবো বলে আশা রাখছি। সেই সাথে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মেলান্দহ – মাদারগঞ্জ থেকে বারবার নির্বাচিত সাংসদ সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী জামালপুরের ২৬ লক্ষ মানুষের উন্নয়নের রূপকার ও আমার রাজনৈতিক অবিভাবক রাজনীতির কবি জননেতা আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি মহাদয়ের নিকট আমার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
তিনি যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন তাহলে অবশ্যই নৌকা প্রতীক আমার হাতে তুলে দিবেন। আর নৌকা প্রতীক পেলে আমি জোড়খালী ইউনিয়নবাসীর বিপুল ভোটে নির্বাচিত হব ইনশাআল্লাহ। এ জন্য সকলের দোয়া সহযোগীতা কামনা করছি।
Leave a Reply