শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৩:০৮ অপরাহ্ন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পুকুর খননের নিউজ করায়,সাংবাদিক এনায়েত উল্লাহকে হত্যার চেষ্টা

মোঃ মাইনুর রহমান মিন্টু
  • Update Time : শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৫৫৬৯ Time View
সাংবাদিক এনায়েত উল্লাহ

দৈনিক ডেসটিনির কাঁটাখালি প্রতিনিধি,ক্রাইম নিউজ ২৪.নেট এর সহকারী সম্পাদক ও দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি এবং অনলাইন প্রেস ইউনিটির জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ এনায়েত উল্লাহকে অপহরণ পূর্বক হত্যার উদ্দেশ্যে জি আই পাইপ দ্বারা মারপিট করিয়া রাস্তায় ফেলিয়া রাখে।

গতকাল সন্ধ্যা অনুমান ৬.৩৫ ঘটিকা থেকে প্রায় রাত্রি ৯.০০ ঘটিকা পর্যন্ত মতিহার থানা এলাকায় উক্ত ঘটনা ঘটে।এনায়েত উল্লাহ বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে র ২নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

অনুসন্ধানে জানা যায় যে,গত বেশকিছুদিন যাবত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল প্রভাবশালী লোক সরকারী দলের পৃষ্টপোষকতায় পুকুর খনন করে ট্রাকে করে মাটি বাইরে নিয়ে যাচ্ছে,যখন উক্ত ট্রাকে থাকা মেরাজ নামক এক ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে প্রতি ট্রাক ২০০০/ টাকা পলাশ নিচ্ছে এবং পলাশ একটি ডিমপাড়া রাজহাঁস পেয়েছে।

উল্লেখ্য যে উক্ত মেরাজ গত ২৬শে এপ্রিল রোড অ্যাকসিডেন্টে মারা যায়। এনায়েত উল্লাহ জানান সেটা রোড অ্যাকসিডেন্ট ছিল না।পরিকল্পিত ভাবে মেরাজকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়।

২ দিন পূর্বে উক্ত পলাশ এনায়েতকে ফোন দিয়ে জানান সোনার রাজহাঁস দেখবেন?এনায়েত বলে হ্যাঁ দেখব।তখন পলাশ,লালন সহ অজ্ঞাতনামা কিছু ব্যক্তি এনায়েত কে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন এর কাছে এক বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কিছু কামানের গোলা ও বেশ কিছু গুলি দেখায় এবং এই বিষয়ে নিউজ যেন না করে বলে থ্রেট দেয়।

এনায়েত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাটি বাইরে নিয়ে যাওয়ার নিউজ করলে পলাশ অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে উক্ত পুকুর খননকালে কিছু মর্টার সেল ও গুলি উদ্ধার হয় মর্মে নিউজ প্রচারিত হলে ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম এসে মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটায়।

যা স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গতকাল এনায়েত ইফতারের দাওয়াত খেতে গোবিন্দপুর গ্রামে ছিল সন্ধ্যা অনুমান ৬.৩৫ ঘটিকায় পলাশ(৩৮),পিতা মৃত মুক্তার,গ্রাম কিসমত কুখণ্ডি,থানা কাটাখালী,জেলা রাজশাহী এনায়েত কে ফোন করে দ্রুত বিহসের মোড়ে ডাকলে এনায়েত সেখানে আসা মাত্র পলাশ কথা আছে বলে এনায়েত কে চেম্বারের পিছনে নিয়ে গিয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে কোন শব্দ করবি না আমাদের সাথে চল।ঘটনার আকস্মিকতায় এনায়েত হত বিহ্বল হয়ে পড়ে।

তখন প্রতিবেশী ঝর্না ভাই ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বন্ধু,দোকানদার বাবলু সহ আরও কিছু ব্যক্তি ঘটনা দেখে কিন্ত প্রত্যেকের হাতে পিস্তল থাকায় সাহস করে এনায়েতকে রক্ষা করতে পারেনি।

যাইহোক পলাশ তাকে মোটর সাইকেলের মিডিলে বসিয়ে নিয়ে যায়।পলাশের সাথে আরও চারটি মোটর সাইকেল প্রতি মোটর সাইকেলে তিন জন করে অজ্ঞাত নামা ১৩ জন ছিল।

এনায়েতকে ফারুকের দোকানে নিয়ে এসে প্রথমে একটি ফেনসিডিলের বোতল ধরিয়ে দিয়ে বলে খা,প্রাণ ভয়ে এনায়েত কিছুটা খেলে ওই অবস্থায় ছবি তোলে, এবং বলে তোর সাংবাদিকতা আমি ছুটিয়ে দিব।তারপর পলাশ বলে উঠে দাড়া,এনায়েত উঠে দাড়ানো মাত্র পলাশ জি আই পাইপ দিয়ে মাথায় হত্যার উদ্দেশে আঘাত করে,এনায়েত মাথা একটু সরিয়ে নিলে আঘাতটি মাথার মুখমণ্ডলের দিকে লাগে।তৎক্ষণাৎ এনায়েত মাটিতে পড়ে অজ্ঞান প্রায়,পলাশ সহ অজ্ঞাতনামা লোকজন জি আই পাইপ দ্বারা মাজায় ও ডান পায়ে আঘাত করিয়া ডান পা ভাঙ্গিয়া ফেলে,ততক্ষনে এনায়েত অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

তখন পলাশ ও তার দলবল এনায়েত কে টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি শামোল এর বাড়ির উত্তরে এনায়েত কে ফেলিয়া পালাইয়া যায়।

অতপর আশেপাশের লোকজন আসিয়া এনায়েত কে দ্রুত কাটাখালী একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে রক্ত বন্ধ করে।এনায়েত এর স্ত্রীকে ফোন করে অতপর দ্রুত তাকে রিক্সা যোগে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।বর্তমানে এনায়েত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ২ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense