স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প কারখানা চালু রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন গার্মেন্টস শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প মালিকেরা। গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বার বার উদাত্ত আহবান জানিয়ে মালিকপক্ষকে তাগাদা দিলেও অধিকাংশ গার্মেন্টস মালিক পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানেননি।
শ্রমিকদের কারখানায় যাওয়া- আসা এবং কারখানায় উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা, সেই বিষয়টিও তদারকি করা হচ্ছে না।বলে অভিযোগ উটেছে ইপিজেড এর শিল্প কারখানা গুুুলোতে।
এমনকি লকডাউন চলাকালীন সময়ে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প- কারখানার মালিকদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করার কথা থাকলে অনেক প্রতিষ্ঠান তাও করেননি বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকেরা।
সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এক ধরণের হযবরল অবস্থার মধ্যেই লকডাউনের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে গতকাল। এদিকে, গার্মেন্টসসহ চট্টগ্রামে ছোট বড় সাড়ে ১২শ’টির বেশি নিবন্ধিত শিল্প কারখানা রয়েছে।
যেখানে কাজ করছে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শ্রমিক। এসব শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা, সে ব্যাপারে প্রশাসনেরও কোন তদারকিও চোখে পড়েনি। যদিও নগরীর ইপিজেড এলাকায় শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কিনা তা মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
তাও আবার সকাল বেলা ও বিকালবেলা বুঝা যায় অবস্তা। শিল্প কারখানাগুলোতে এভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে করোনা সংক্রমণ আরো বড় আকারে বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নগরীর বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর ইপিজেড ও দেওয়ানহাট এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গার্মেন্টস ছুটি শেষে গাড়ির জন্য শ্রমিকদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ভাগ্যক্রমে একটি গাড়ি পেলে সেখানে হুমড়ি খেয়ে সবাই উঠছেন। এসময় গুনতে হয়েছে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভাড়া। নগরীর ইপিজেড এলাকার মো. ফারুক নামের এক শ্রমিক অভিযোগ করে বলেন, যদিও সরকারি নির্দেশনা ছিল, শ্রমিকদের জন্য নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
কিন্তু অধিকাংশ গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ সেটা করেননি। আমার বাসা নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায়। গার্মেন্টস ছুটি হয়ে ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন গাড়ি পাচ্ছি না।
গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পর ইপিজেড এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। গার্মেন্টেসের গাড়িগুলোতে শ্রমিকরা গাদাগাদি করে উঠছে। এভাবে গাদাগাদি করে গাড়িতে উঠলে স্বাস্থ্যবিধি আর কই মানা হলো প্রশ্ন করেন তিনি।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরীর ইপিজেড এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে আমাদের একটি টিম মনিটরিং করেছে।
তবে প্রথমদিনে কোন জরিমানা না করে সতর্ক করা হয়েছে। একইভাবে আগামীকাল শনিবার থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা করা হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply