গাজীপুর মহানগরের তারগাছ এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক কিশোরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে মোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয় কিশোর মোঃ শাকিল।
সে স্থানীয় আহসানউল্লাহ মাস্টার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। সে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার দিতপুর গ্রামের মোঃ এজাজুল ইসলামের ছেলে।
বর্তমানে সে মহানগরের তারগাছ এলাকার রুবেল মোল্লার বাড়িতে বাবা-মায়ের সাথে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হাবিবুল্লাহ নামে ১ জনকে আটক করেছে জিএমপির গাছা থানা পুলিশ।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানা, এটি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি মাদক সংক্রান্ত ঘটনার জেরে ওই হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
প্রথমে যদিও বলা হয়েছিল গেমস খেলাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে এলাকাবাসীর বক্তব্য ও প্রাথমিক তদন্তে মাদকের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ ইলতুৎমিস জানান, গেমস খেলাই হোক আর মাদকই হোক সবগুলো বিষয় নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।
তদন্ত সাপেক্ষে ইনশাল্লাহ আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত হাবিবুল্লা এই নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত।
সে ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি সহ মাদক কেনাবেচা সবকিছুতেই তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। হাবিবুল্লাহ সহ তাদের এক বিরাট কিশোর গ্যাং বাহিনী রয়েছে।
এলাকায় নতুন বাড়ি করলে তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে সে বাড়ি ঘর করা সম্ভব হয় না। অপরদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও গাছা থানা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী রাশেদুজ্জামান জুয়েল মন্ডল নিহত শাকিলকে নিজের এবং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করে তিনি বলেন, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এসময় নিজ কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জুয়েল। বৃহস্পতিবার বিকালে গাছা চেয়ারম্যান বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে যুবলীগ নেতা জুয়েল মন্ডল হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
Leave a Reply