রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
খালি পেটে কখনো কোন কাজ করা ঠিক নয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ: এনবিআর অচল, রপ্তানি কার্যক্রম ঝুঁকির মুখে একদিনে আরও ২৬২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১ জন ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালির ঝলমলে ক্যারিয়ারের আড়ালে লুকানো বিষাদের অধ্যায় মেজর লিগ ক্রিকেটে এবার নাটকীয়তার চূড়ান্ত, শেষ বলেই ছক্কা মেরে রুদ্ধশ্বাস জয়! রানওয়েতে কালো ভাল্লুক, বাতিল এক ডজন ফ্লাইট এনবিআরের শাটডাউন: সারা দেশে আমদানি-রপ্তানি ও শুল্ক-কর সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত একসঙ্গে কতটি কোয়েলের ডিম খাওয়া নিরাপদ? হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ঘোষিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন

মাধবপুরে নিরিহ পরিবারে উপর হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৮৫ Time View

পূর্বে কোন বিরোধ বা কোন শত্রুতা নেই, বিন্দুমাত্র সহনশীলতা কিংবা সম্প্রীতি নেই তাদের মধ্যে। শুধু মাত্র বালু ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি নিয়ে বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট চালানো হয় প্রতিপক্ষের ঘরবাড়িতে।

বসতঘরের সকল মালামাল শুধু ভাংচুর ও মারপিট করে ক্ষান্ত হয়নি, ঘরের মধ্যে থেকে পোশাক, আসবাবপত্র, রান্না করা ভাত পুকুরে ফেলে দেয় পাশ্ববর্তী গ্রামের প্রতিপক্ষরা।

বাড়িতে থাকা মহিলাদের শ্লীলতাহানীরও চেষ্টা করে হামলাকারীরা। সোমবার সকালে মাধবপুর উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত পিতা সামছু মিয়ার ছেলে আবু কালামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল) মহসিন আল মুরাদ, মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ও নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে হামলা-ভাঙচুর, মারপিট, শ্লীলতাহানী ও লুঠপাটের ঘটনায় মাধবপুর থানায় আবুল কালামের মা রহিমা বেগম (৫৫) বাদী শানু মিয়া, রেনু মিয়া, নানু মিয়া, খেলু মিয়াসহ ২৩জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

যানাজায়, আবুল কালাম (২৮) নিজ ঘরের কাজ করানোর জন্য বালুর প্রয়োজন হলে ঐদিন রাতে পার্শ্ববর্তী উত্তর নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান ছেলে খেলু মিয়া (৫০)’র কাছ থেকে বালু ৫০ হাজার টাকার বালু ক্রয় করেন।

নগদ ৩০ হাজার টাকাও অগ্রিম দিয়ে আসেন খেলু মিয়ার কাছে। পরদিন সকালে আবুল কালাম বালু আন্তে গেলে খেলু মিয়া বালু দিতে অস্বীকার করেন।

এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথাকাটাটি হয়। এক পর্যায় আবুল কালাম বাড়িতে চলে আসার কিছুক্ষণ পরই খেলু মিয়া তার দলবল নিয়ে আবুল কালামের বাড়িতে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে ঘরের টিন, দরজা-জানালা, বাথরুম, আলমিরা, খাট, টিভি, ফ্রিজ, সিলিং ফ্যান, মোবাইল, রান্নাঘর, সবকিছু ভাঙচুর করে।

এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান আবুল কালামের পরিবার। আবুল কালামের মা রহিমা বেগম বলেন, সকালে রান্না করে খাবারের জন্য বসি।

এমন সময় হঠাৎ খেলু মিয়া ও শানু মিয়ার নেতৃত্বে ২০০ জন লোক আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে ঢুকেই ঘরে হামলা শুরু করে।

আমাদেরকে কথা বলার কোন সুগোগ দেয়নি। রামদা, দা, সাপল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে সকল আসবাবপত্র ভাংচুরসহ বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রায় ৫লাখ টাকা, ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুঠ করে নিয়ে যায়।

আমরা চিৎকার শুরু করলে গলায় ছুরি ধরে রাখে। প্রায় দুই ঘণ্টা তান্ডব চালানোর পর সবকিছু পুকুরে ফেলে চলে যায়। নিপা আকতার বলেন, হঠাৎ করে অনেক লোকজন বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর করা শুরু করে।

তাদের তান্ডব দেখে আমরা ভয়ে চুপ করেছিলাম। বাড়িতে থাকা নিকট আত্মীয় মর্জিনা বেগম ও রাসেল বলেন, এমনভাবে হামলা করা হয়েছে যা বর্ণনাতীত।

এই বাড়িতে এখন রান্না করে খাওয়ারও ব্যবস্থা নেই। থাকার খাটও ভাঙ্গা। পরিদর্শনে আসা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল) মহসিন আল মুরাদ বলেন, যে পরিবারটির ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে তাদের সাথে পূবের্র কোন শত্রুতা নেই।

তবে ভাঙচুরের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তারা ভাংচুর করে আবার সবকিছু পুকুরে ফেলে যায়। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনার খবর শুনেই আমি সেখানে ছুটে যাই।

বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। এব্যাপারে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense