শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মুকসুদপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বেরোবিতে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত পথসভায় লোক ভাড়া করে এনে টাকা না দেয়ার অভিযোগে হট্টগোল ফরিদরপুরের নগরকান্দা উপজেলায় শেষ হলো নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা যারা পিআর নিয়ে কথা তুলছে তারা স্বৈরাচারের দোসর – হেলেন জেরিন খান রাজৈরে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে সনাতনী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত। টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ” জুলাই গণ অভ্যুত্থান”দিবস উদযাপিত। ভোগ বিলাসে উপদেষ্টারা ব্যস্ত : রংপুরে সাদিক

বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলা আমাদের প্রিয় নবীর সুন্নাত

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৫১০ Time View

ভাষা আল্লাহ তাআলার অন্যতম সেরা দান। আল্লাহ তাআলার অসংখ্য নিআমতের মাঝে এক মহান নিআমত । কুরআনে কারীমে তিনি ইরশাদ করেন: (তরজমা) ‘তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আকাশ-মণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র। -সূরা রূম : ২২ বিশুদ্ধ ভাষাই পারে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে। একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে অর্থবহ করে যেসব গুণ, সেগুলোর মাঝে বিশুদ্ধ ভাষা ও সুস্পষ্ট উচ্চারণে কথা বলা অন্যতম। নেতৃত্বের অন্যতম গুণ বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলা। কারণ এর মাধ্যমে শ্রোতা ও অধীনদের উপর সহজেই প্রভাব ফেলা যায়। মূলত বিশুদ্ধ ভাষা প্রাণ-মনকে দেয় তৃপ্তি আর চিন্তাচেতনাকে দেয় দীপ্তি। বিশুদ্ধ ভাষার সম্মোহনী শক্তি আর মন-মস্তিষ্কে প্রভাব বিস্তারের উচ্চমানসম্পন্ন ক্ষমতার বিষয়টির সত্যতা, ও বাস্তবতা বুঝে আসে যখন দেখতে পাই যে, আল্লাহ তাআলা সমস্ত নবী ও রাসূলকে তাঁদের আপন সম্প্রদায়ের ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেছেন: (তরজমা) ‘আমি প্রত্যেক নবীকেই তার জাতির ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি যাতে তাদের সামনে তারা পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে।’ -সূরা ইবরাহীম ১৪ : ৪ আর বাস্তবেই দেখা গেছে যে, নবী-রাসূলগণ তাঁদের স্বজাতির ভাষায় সর্বশ্রেষ্ঠ সুভাষী হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন। বাগ্মী ও সুবক্তা ছিলেন। বিশুদ্ধ ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব আরো সুন্দর বুঝে আসে যখন দেখতে পাই মূসা আলাইহিস সালাম তাঁর ভাইয়ের বিশুদ্ধ ও স্পষ্টভাষী হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। (‘আমার ভাই হারুনের যবান আমার চেয়ে বেশি স্পষ্ট।’ -সূরা আলকাসাস ২৮ : ৩৪) এ থেকে বোঝা যায় যে, নসীহত, ওয়ায ও প্রচারকাজে বিশুদ্ধ ভাষা, ভাষার প্রাঞ্জলতা ও প্রশংসনীয় বর্ণনাভঙ্গি কাম্য। আঞ্চলিক ও অশুদ্ধ ভাষা ছেড়ে এই গুণ অর্জনের চেষ্টা করা একটি মহৎ ও উচুঁমার্গের কাজ; একটি নববী আদর্শ। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও বিশুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করতেন। আরবী ভাষায় তাঁর এমন দক্ষতা ও নিপুণতা ছিল যে, মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সবাই স্বীকার করতেন, তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ শুদ্ধভাষী। তাঁর ভাষা ছিল বিশুদ্ধ, উচ্চারণ ছিল সুস্পষ্ট এবং বাচনভঙ্গি ছিল প্রাঞ্জল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই ইরশাদ করেছেন-أعطيت جوامع الكلم অর্থাৎ ‘আমাকে দান করা হয়েছে সর্বমর্মী বচন’। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫২৩ বিশুদ্ধ ভাষায় সুন্দর ও সুস্পষ্টভাবে কথা বলা আমাদের প্রিয় নবীর সুন্নাত। আমাদের বিশুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে হবে। আলোচনায় সকলকে মুগ্ধ করতে বিশুদ্ধ ভাষার বিকল্প নেই।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense