উত্তরার আলোচিত ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত গাড়ির নম্বর শনাক্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার হওয়াদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে পারেননি ডিসি মুহিদুল। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৩৭ নম্বর বাসা থেকে নগদের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের এমডি আব্দুল খালেক নয়নের বাসা থেকে চারজন কর্মী দুইটি ব্যাগে মোট ১ কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা নিয়ে দুইটি মোটরসাইকেলে রওনা দেন। টাকার গন্তব্য ছিল একই সেক্টরের ১৩ নম্বর রোডের ৪৯ নম্বর বাসা, যেখানে অবস্থিত নগদের আরেকটি ডিস্ট্রিবিউশন অফিস।
তবে ১৩ নম্বর রোডের ৩৭ নম্বর বাসার সামনে পৌঁছানোর পরপরই, আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একটি কালো রঙের হাইস মাইক্রোবাস দুইটি মোটরসাইকেলের পথরোধ করে। এরপর ‘র্যাব’ লেখা কালো কটি পরিহিত ৮–১০ জন অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী নিজেদের র্যাব পরিচয় দিয়ে চারজনকে জিম্মি করে ব্যাগ দুটি ছিনিয়ে নেয়। মুখোশ পরা এসব ছিনতাইকারী অনেকটাই ‘ফিল্মি কায়দায়’ অপারেশনটি চালায়। এ সময় তারা তিনজনকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়, আরেকজন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। যদিও তার কাছে থাকা ব্যাগে কেবল ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ছিল।
নগদের উত্তরা ডিস্ট্রিবিউটর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ছিনতাই হওয়া অর্থ তুরাগ ও উত্তরা এলাকার ডিস্ট্রিবিউশন কার্যক্রমের আয় ছিল।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় তদন্তে নেমেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ছাড়াও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), এবং র্যাব। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তথ্য জানার জন্য মোট পাঁচজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন নগদের উত্তরা ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের ম্যানেজার রিয়াজুল ইসলাম, সুপারভাইজার সঞ্জয় কুমার, ওমর আহমেদ এবং তুরাগ অফিসের ম্যানেজার মাসুদুর রহমান। এছাড়া মামলার বাদী আব্দুর রহমানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি।
Leave a Reply