পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
তারেক রহমান বলেন, “পবিত্র ঈদুল আজহার এই মহোৎসবে বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্বের সব মুসলমানদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই। সকলের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।”
তিনি বলেন, “ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা হলো ত্যাগ—এই ত্যাগের মাধ্যমেই মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে পশুর মাংস বা রক্ত নয়, বরং পৌঁছায় তোমাদের মনোবাসনা।’ এই মনোবাসনাই আত্মশুদ্ধি ও আত্মনিবেদনের প্রতীক।”
তারেক রহমান বলেন, “দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সামাজিক বৈষম্য ও নানা সংকটের মাঝেও দেশের মানুষ ঈদের আনন্দে সামিল হচ্ছে। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময়ের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন শুরু হয়েছে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে। এবার মানুষ কিছুটা স্বস্তির মধ্যেই ঈদ উদযাপন করবে বলে আশা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদী শক্তির লুটপাট, দুর্নীতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ বিনাশের কারণে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। এখন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্প্রীতি, শান্তি, নৈতিকতা ও সমতার সমাজ গড়ে তুলতে হবে।”
তারেক রহমান বলেন, “ঈদুল আজহার কোরবানি শুধু পশু জবাই নয়; এটি আত্মনিবেদন, ধৈর্য ও বিশ্বাসের প্রতীক। এই শিক্ষা সমাজে সাম্য, সংহতি ও সহমর্মিতা গড়ে তোলে।”
তিনি বলেন, “বর্তমান কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেকেই ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-গ্যাস সংকট এবং স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার চাপে ঈদ অনেকের কাছে হয়ে উঠছে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। তাই যেন কেউ অভুক্ত না থাকে, সেদিকে সবার নজর দিতে হবে।”
বিবৃতির শেষাংশে তারেক রহমান বলেন, “ঈদুল আজহা আমাদের জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক। সমাজে গড়ে উঠুক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনাই করি—ঈদ মোবারক।”
Leave a Reply