শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩০২ Time View
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার । ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বর্তমান নানা ইস্যু আলোচিত হয়েছে। সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গণহত্যা ও নৃশংসতার পরে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেছেন। এরপর বাংলাদেশের নেতৃত্ব নিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা বিবেচনা করে বাইডেন প্রশাসন কিভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছে, এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ বিষয়ে বলেন, আমরা এসব বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন এবং এসব বিষয়ে অগ্রগতির জন্য আমরা আগ্রহী।

ব্রিফিংয়ে কোটা আন্দোলনের প্রসঙ্গও উঠেছে। প্রশ্ন করা হয়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ছিলেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা। কিছু অভিযোগ রয়েছে যে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন এবং সেখান থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।

জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক বিষয়গুলো প্রায়ই ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের বৈঠকে উঠে আসে। তবে আপনার প্রশ্নের নির্দিষ্ট বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

এর আগে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরের পর একটি ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। সেখানে প্রশ্ন করা হয়, লুর সফরের বিষয়ে কোনো ফলোআপ এবং তার বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? বিশেষ করে, অন্তর্বর্তী সরকারের পরিস্থিতি এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন কী?

মিলার জানান, ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সহযোগিতায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি উন্নয়ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা সুশাসন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশি জনগণের উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করবে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense