শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
একসঙ্গে কতটি কোয়েলের ডিম খাওয়া নিরাপদ? হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ঘোষিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন হতাশায় শেষ বাংলাদেশ, জয়ের কাছাকাছি শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের সঙ্গে স্থগিত, বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে আগ্রহী ভারত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কঠোর নির্দেশনা, অমান্য করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে ‘নগদ’-এর নেতৃত্বে নতুন চেয়ারম্যান ডিভোর্সের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া ইউক্রেন বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) অনুরোধ জানাবে।

দেড় মাস পর আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, প্রকাশ পেল চাঞ্চল্যকর তথ্য

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৬৯ Time View

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে যে, পুলিশের গুলিতে তার শরীরে শটগানের গুলির চিহ্ন মিলেছে। এছাড়া, তার মাথায় বড় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, আবু সাঈদের মৃত্যুর আড়াই মাস পর পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

গত ১৬ জুলাই রাত ১২টায় তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় এবং প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার মৃত্যু হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, তার মাথার খুলির ওপরের দিকে ৩ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও দেড় ইঞ্চি প্রস্থের একটি গর্ত ছিল, যেখান থেকে রক্তক্ষরণ ও রক্ত জমাট বাঁধার প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া, বুক, পেট ও অন্যান্য স্থানে অসংখ্য ছোট ছোট রাবার বুলেটের গর্ত ছিল, যেগুলো থেকেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। মাথার আঘাত ও শরীরের অন্যান্য আঘাতের কারণে আবু সাঈদ শকে চলে যান, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের তাক করা অস্ত্রের সামনে বুক পেতে দাঁড়ান আবু সাঈদ। সে সময় পুলিশ হঠাৎ করে তার দিকে রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। তার হাতে একটি লাঠি ছিল, যা দিয়ে তিনি বুলেট ঠেকানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু ঘটে।

তার বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন আরও জোরদার হয়।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense