শহরে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালাতে হবে মোটরসাইকেল—সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ মোটরযানের গতিসীমা সংক্রান্ত এমন নির্দেশিকা জারির পর থেকে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এবার প্রকাশ্যে এর প্রতিবাদ করেছেন একদল মোটরসাইকেল চালক।
রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ-এর সামনে একদল মোটরসাইকেল চালক এ নির্দেশিকার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
এসময় তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানান। তাদের দাবি, রাস্তায় নিয়ম ভাঙা বেপরোয়া গাড়ি। কিন্তু মোটরসাইকেল তো ৩০ কিলোমিটারের ঠেলাগাড়ি নয়।
তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড এ লেখা ছিল, ৩০ কিলোমিটার গতি অর্থনীতির ক্ষতি, ৩০ কিলোমিটার গতিবেগ বেধে দিয়ে তরুণ প্রজন্মকে আটকানোর প্রচেষ্টা কেন, বেপরোয়ারা সব যানবাহন আসল ভিলেন, তবুও কেন বাইকের গতিতে নিয়ম দিলেন।
প্রায় আধঘণ্টা তারা প্রতিবাদ জানান। পরে তারা বিআরটিএ এলাকা ত্যাগ করেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপ-সচিব মো. জহিরুল ইসলামের গত ৫ মে স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে ১০ ধরনের জন্য সড়কের ৬টি ক্যাটাগরিতে গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কেউ এ নির্দেশিকা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন অমান্যকারী তিন মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারেন।
বিধিমালা অনুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৫০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।
Leave a Reply