মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জমিয়ত সুনামগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে যশোর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন উন্নয়নের ইঞ্জিন পুনরায় সচল করে বৈশ্বিক সহায়তা বৃদ্ধি করুন আজ থেকে শুরু এনসিপির মাসব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ আজ দেশের সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৩০ আগস্ট ঢাকায় সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী ভারতের একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, প্রাণ গেল ১২ জনের রাতে ভাত খাওয়া কি সত্যিই ক্ষতিকর? পুষ্টিবিদদের বক্তব্য কী? জুলাই স্মরণে ২০২৪ শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে : কৃষিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১
  • ২৬১ Time View

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী  ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে  উন্নয়নের যে ভিত্তি রচিত হয়েছে তাতে অচিরেই বাংলাদেশ  উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

গতকাল জাতীয় সংসদে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাব সাধারণ বিধি ১৪৭ এর আওতায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আলোচনার  এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি তাঁর প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এর আগে গতকাল  সংসদে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিকসহ সব খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি অর্জন করেছে। এক সময়ের সাড়ে সাত কোটি জনসংখ্যার দেশ আজ ১৬ কোটির বেশি জনসংখ্যায় পরিণত হয়েছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা আজ স্থানীয়ভাবে পুরণ করা সম্ভব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে কৃষি উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, অথচ এক সময় বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ স্বনির্ভরভাবে টিকে থাকতে পারবে না বলে মতামত দিয়েছিলেন। আজ তাদের সে মতামত মিথ্যা প্রমাণ করে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
ড. রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে নয়, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, যোগাযোগ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, শান্তি-শৃঙ্খলাসহ সবক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এসডিজি লক্ষ্যগুলোর বেশ কয়েকটি অর্জনের পথে এগিয়ে চলছে।

ইতোমধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অচিরেই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ ও দূরদর্শী পরিচালনায় দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে আজ এটা স্বীকৃত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুজিব বর্ষে পাঠানো বার্তায় বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে অভিহিত করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুধু উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ নয়, ’৪১ সাল নাগাদ মেধা মনন, মানবিকতায় উদহারণ সৃষ্টকারী একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, এ জন্য মেধা, মনন, মানবিকতা, আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

ড. হাছান মাহমুদ গত ১৩ বছরে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, আজ পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের তুলনায় উন্নয়ন ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে। এমনকি সমস্ত সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের আগে বাংলাদেশ কখনো স্বাধীন ছিলোনা। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির প্রথম জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি ১৯৭২ সালে জাতির পিতার ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কমিউনিষ্ট পার্টির মনিসিংহের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, ‘মনিসিংহ বলেছিলেন, ১৯৫১ সালে বঙ্গবন্ধু তাকে চিঠিতে জানিয়েছিলেন তিনি পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।’ তবে, রাজনীতির কবি  বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য জাতিকে ধাপে ধাপে প্রস্তুত করতে থাকেন। এরই মধ্যে ’৬৬ সালে বাঙালির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা পেশ করে জনগণের মনন তৈরি করেন। এর ধারাবাহিকতায় ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০ এর নির্বাচন, ৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণ,  ২৬ মার্চে জাতির পিতার স্বাধীনতা ঘোষণায়  রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু উন্নত-সমৃদ্ধ বসংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ঘাতকরা তা সম্পন্ন করতে দেয়নি। ’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট সপরিবারে  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, অথচ  ১৯৭৪-৭৫ সালে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ৯.৫৯ ভাগ।  এ প্রবৃদ্ধি  আজ পর্যন্ত কোন সময় অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা সম্ভব হতো। আর দেশ অনেক আগেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো। এখন তার সুযোগ্য কন্যার হাতে দেশ সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার যে অমোঘ বাণী অনুরণিত হয়েছে ‘কেউ আমাদের দাবাইয়া রাখতে পারবেনা’ তা প্রতিটি বাঙালিকে সাহসে বলিয়ান করে তোলে। আর রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু দেশকে সোনার বাংলা নির্মাণে  ভিত্তি রচনা করেছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তা হতে দেয়নি। ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের উন্নয়নের গতি থমকে গিয়েছিল, ভূলন্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার তাঁর আত্মজা শেখ হাসিনা দেশীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে অপ্রতিরুদ্ধ গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পিতার মতোই কন্যা ‘কেউ আমাদের দাবাইয়া রাখতে পারবে না’ এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাঙালি জাতিকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।  দেশকে শুধু মধ্যম আয়ের নয়, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অন্য সদস্যরা বলেন,  বঙ্গবন্ধু জাতিকে শুধু স্বাধীনতা উপহার দিয়ে ক্ষ্যান্ত থাকেননি,  এ মহান রাষ্ট্রনায়ক যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশকে ধাপে ধাপে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করা কাজ শুরু করেছিলেন। দেশকে এগিয়ে নিয়েও যাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তা হতে দেয়নি। তবে, বঙ্গবন্ধু বাঙালির হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তাঁর আদর্শের ভিত্তিতে আজ দেশ পরিচালিত হচ্ছে। আর দেশ এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হতে চলেছে।

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির নেতা ছিলেন না, তিনি বিশ্বের সকল নিপীড়িত – নির্যাতিত মানুষেরও নেতা ছিলেন। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার আগে কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি হত্যা করতে পারেনি, বাংলাদেশের কিছু কুলাঙ্গার মীরজাফরা  এ মহান নেতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। তাঁকে হত্যা করে স্বাধীনতার আদর্শকে এবং দেশের উন্নয়নকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। আজ জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ আবার মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারায় ফিরে এসেছে। খুনিদের বিচার হয়েছে। রায় কার্যকর হয়েছে। এমনকি ‘৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে।  এখনও চলছে।  শেখ হাসিনা  দলের  পতাকা হাতে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন। সেই থেকে তিনি নিষ্ঠার সাথে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন।

তারা বলেন, জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর আজীবন স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ।  ঘাতকরা তা হতে দেয়নি। আজ তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা পিতার  সে স্বপ্নের পথে দেশকে  এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশ আজ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।আলোচনায় অংশ নেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, চিফ হুইপ নির-ই-আলম চৌধুরী, বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, হুইপ ইকবালুর রহিম,  সরকারি দলের  সদস্য আমির হোসেন আমু, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, নুরুল ইসলাম  নাহিদ,  আ, ফ, ম রুহুল হক, আ, স, ম ফিরোজ, এ বি তাজুল ইসলাম, মোতাহার হোসেন, প্রাণ গোপাল দত্ত,  শাজাহান খান,  আবুল হাসনাত আবদুল্যাহ, এ, কে এম, রহমতুল্যাহ, নজরুল ইসলাম  চৌধুরী, নারায়ন চন্দ্র  চন্দ, তানভির শাকিল জয়, মৃণাল কান্তি দাস, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, বেগম শবনম জাহান, নাহিদ এজাহার খান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের শিরীন আখতার, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম  মাহমুদ, ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী,  মুজিবুল হক, রওশন আরা মান্নান, বিএনপির হারুনুর রশীদ, রুমীন ফারহানা, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের  আবদুল মান্নান। (বাসস)

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense