মোঃ মাসুদ রানা পাইলট প্রতি বছর এই সময় নদীর ভরা মৌসুমে দেশ জুড়ে শুরু হয় নৌকা বাইচের ধুম। করোনার কারনে কিছুটা ব্যতিক্রম হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন মির্জাপুর গ্রামের কিছু তরুন যুবক উদ্দ্যোগ নেয় এলাকার মানুষ কে বিনোদিত করার।
তারই ধারাবাহিকতায় মির্জাপুরের বারমাসিয়া নদীতে তারা নৌকা বাইচের ৮ টিম বিশিষ্ট লীগ খেলার আয়োজন করে।আজ শুক্রবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়, যা দেখতে ভিড় জমায় হাজারো দর্শনার্থী। নদী পাড়ের ২ কিলোমিটার এবং নদীর উপরে অবস্থিত সেতুর উপরে ভিড় করেন হাজার হাজার দর্শনার্থী।
বিভিন্ন সাজে সেজে নেচে গেয়ে আনন্দে মাতেন বিচিত্র রঙে সেজে আসা এক দল ব্যান্ড পার্টি। ব্যান্ডপার্টির দল বলেন, মানুষকে আনন্দ দেয়ার জন্য আমরা সেজে এসেছি এবং ব্যান্ড বাজাচ্ছি। মানুষ আনন্দ পাচ্ছে, আমরাও আনন্দ পাচ্ছি।
মিঠন চক্রবর্তী নামে এক দর্শক বলেন আজকের এই নৌকা বাইচ খেলা দেখে খুবই আনন্দ পেয়েছি এই নৌকা বাইচ যেন বেঁচে থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো। এই নৌকা বাইচ যেন সামনে আরও বড় কলরবে অনুষ্ঠিত হয়। খেলার আরেক দর্শক শাহিন আলি বলেন দির্ঘদিন যাবৎ করোনার কারনে বাড়িতে আবদ্ধ থেকে একঘেয়েমি হয়ে গেছি।
এই ধরনের বিনোদন মুলক খেলার আয়োজন করার জন্য নৌকা বাইচ পরিচালনা কমিটির সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। নৌকা বাইচ আয়োজক কমিটির এক সংগঠক শহিদুল ইসলাম বলেন , প্রায় ২০ হাজার লোক আজকের এই নৌকা বাইচ দেখতে এসেছে।
আমরা ভিষন খুশি হয়েছি।আমরা চেষ্টা করবো আগামীতে আরও ভালোভাবে করার। খেলা শুরুর আগে ভাসমান স্টেজে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। খেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং কেতাব আলির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েল, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলমগির রেজা, বারিউল ইসলাম, আব্দুস সালাম আবু সহ প্রমুখ।
কমিটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মামুনুর রশিদ এবং মাসুদ রানা পাইলট । খেলায় আলি মাঝির দল তারিফ মাঝির দলকে হারিয়ে চাম্পিয়ন হন। খেলা শেষে অতিথিবৃন্দের মাধ্যমে আয়োজক কমিটি চাম্পিয়ন দলকে একটি বড় ছাগল এবং রানার্স আপ দলকে ১ টি মাঝারি ছাগল উপহার দেন।
Leave a Reply