আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ঢাকা থেকে ফেরার পর তার ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জাকে দেখতে বসুরহাট পৌরসভায় জনতার ঢল নেমেছে।
রোববার (২৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে তিনি বসুরহাট পৌরসভায় এসে পৌঁছান। মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব একটা কথা দৃঢ়তার সাথে বলেছেন তা হলো তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। তিনিও জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একমত। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুসরণ করে কাজ করবেন।
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যে এলাকায় জনপ্রিয় সে নমিনেশন পাবে। ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে সকল তথ্য আছে। কেউ যদি নিজের ভুলের জন্য বাদ পড়েন তাহলে আমার কিছু করার থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোম্পানীগঞ্জের সকল বিষয় জানেন। ওবায়দুল কাদের সাহেবও বলেছেন সব বিষয় ওনার মাথায় আছেন।
কাদের মির্জা আরো বলেন, আমি আমাদের প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি। এর আগে ঈদের দিন উনাকে সালাম দিয়েছি, অনেক কথাবার্তা হয়েছে। উনি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ঢাকাতে একটু একান্ত দেখা করার জন্য।
ওনার নির্দেশে আমি গতকাল ৪টার দিকে ওনার বাসায় দেখা করেছি। ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাকে বলেছেন, যারা মূলধারার সঙ্গে কাজ করতে চায় তারা যেনো একত্রিত হয়। বিভিন্ন কমিটির রদবদলের বিষয়ে কাদের মির্জা বলেন, অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন যে আপনারা দলের কমিটি করে ফেলেছেন; আমরা কিভাবে আসবো।
আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি, দলের মূল কমিটিতে আমরা হাত দিই নাই। যেগুলা শূন্য আছে কাজ চলছেনা সেগুলায় আমরা হাত দিয়েছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যখন আমাদের সাথে বেইমানি করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সহ-সভাপতি থেকে ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলকে সভাপতি করা হয়েছে এবং মো. ইউনুসকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (২২ মে) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ফুল হাতে তার বড় ভাই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
Leave a Reply