
চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে নরসিংদীর পলাশে আবারও একটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে এ কম্পনের উৎপত্তিস্থল পলাশ উপজেলা, যার রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৩.৩ ম্যাগনিটিউড।
ভূমিকম্পটি গত শুক্রবারের কম্পনের অনুরূপ হলেও নতুন কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ঘোড়াশাল সার কারখানা ও ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অনারেবল অধ্যাপক ড. আ. স. ম. উবাইদুল্লাহর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে। তিনি জানান, "আমরা ভূমিকম্পের উপাত্ত সংগ্রহ করছি। ফাটলগুলো ভূমিকম্পের কারণে তৈরি হয়েছে এবং এগুলোর পেরালাম এবং বার্টিকেল এক্সটেনশন মাপা হচ্ছে। ভূমিকম্পের তীব্রতা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পর আমরা সমন্বিত রিপোর্ট প্রকাশ করব। তবে এটি বড় ধরনের নয়, মাঝারি বা ছোট আকারের কম্পন।"
নরসিংদী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার আনোয়ার হোসেনও নিশ্চিত করেছেন, শনিবারের কম্পনের উৎপত্তিস্থল পলাশ এবং রিখটার স্কেলে মাত্রা ৩.৩।
গত শুক্রবারের ভূমিকম্পে নরসিংদীর বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক কাঁচা, আধাপাকা ও বহুতল ভবনে ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি পলাশ উপজেলায় হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি শতাধিক ভবনে ফাটল দেখা গেছে এবং বিভিন্ন স্থানে মাটি দুইভাগ হয়েছে।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুবক্কর সিদ্দিকী জানান, উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩০টি ভবনের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কন্ট্রোলরুম চালু রাখা হয়েছে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন জানান, নিহতদের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। আহতদের সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জেলায় প্রায় শতাধিক বাড়িতে আংশিক ক্ষতি এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে বন্ধ থাকা ঘোড়াশাল সার কারখানা ও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও চালু করা হয়নি।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
ঠিকানা: ১/১৬ তাজমহল রোড, ব্লক: সি মোহাম্মদপুর, ঢাকা ।
বিজ্ঞাপন ও বার্তা বিভাগ : 01569118393 (Phone & WhatsApp)
ই-মেইল: alokitojanapadbd@gmail.com
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ওয়েবসাইট
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত