
মার্কিন সরকারের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়ার পর ঋণের পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধাতুটির দাম তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, বিলম্বিত মার্কিন অর্থনৈতিক তথ্য ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার নীতি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা দেবে, যা বাজারে দাম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আজ লন্ডন সময় সকাল ১০:১৬ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম ০.৯% বাড়ে এবং প্রতি আউন্স ৪,২৩৫.৫৬ ডলারে পৌঁছায়—যা ২১ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। ডিসেম্বর ডেলিভারির মার্কিন স্বর্ণ ফিউচারও ০.৬% বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি আউন্স ৪,২৪০.১০ ডলারে লেনদেন হয়।
ইনপ্রুভডের মূল্যবান ধাতু ব্যবসায়ী হুগো পাসকাল বলেন, “মূল্যবান ধাতুর দাম ইক্যুইটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা ফেডের নরম নীতি বা সুদহার হ্রাসের সম্ভাবনা বিবেচনায় রাখছেন। সরকারি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হলেও ঋণ বাড়বে, যা এই প্রবণতায় বড় পরিবর্তন আনে না।”
তিনি আরও জানান, “রূপা ও স্বর্ণের প্রকৃত চাহিদা এখনও দৃঢ়। পাশাপাশি সাম্প্রতিক মার্কিন অর্থনৈতিক সূচকগুলো দুর্বল প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ধাতুর দামের জন্য সহায়ক।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন অর্থনীতি মন্থর হওয়ার এবং সম্ভাব্য সুদহার হ্রাসের প্রত্যাশা স্বর্ণবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরও বাড়িয়েছে।
দেশীয় বাজারে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্বর্ণের প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ টাকা। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ৪,১৮৮ টাকা বৃদ্ধির পর নতুন দাম ঘোষণা করে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থানীয় তেজাবি স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। নতুন দাম অনুযায়ী:
২২ ক্যারেট: ২ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ টাকা
২১ ক্যারেট: ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা
১৮ ক্যারেট: ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৩ টাকা
সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ: ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৮ টাকা
এছাড়া স্বর্ণ বিক্রয় মূল্যে সরকার-নির্ধারিত ৫% ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬% মজুরি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মান অনুযায়ী মজুরির পার্থক্য থাকতে পারে।