
হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে রংপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় মূলহোতা জরেজুল ইসলাম এবং তার প্রেমিকা শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—আশরাফুল হকের বন্ধু ও মামলার প্রধান আসামি জরেজুল ইসলাম এবং তার প্রেমিকা শামীমা আক্তার।
র্যাব-৩ জানায়, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামতসহ দুই আসামিকে দাউদকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, পরকীয়া সম্পর্কজনিত বিরোধের জেরে আশরাফুল হককে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ ২৬ টুকরায় খণ্ড-বিখণ্ড করে দুটি প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে ফেলে রাখা হয়।
এর আগে আশরাফুলের বোন আনজিরা বেগম শাহবাগ থানায় জরেজুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, তার বড় ভাই দিনাজপুরের হিলি বন্দর থেকে সারাদেশে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আলুসহ বিভিন্ন কাঁচামাল সরবরাহ করতেন। ১১ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে তিনি আসামি জরেজকে নিয়ে ঢাকায় আসেন। এরপর থেকেই আশরাফুলের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
স্বজনদের সন্দেহ, ১১ থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে কোনো একসময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আশরাফুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ ২৬ টুকরায় খণ্ডিত করে দুটি নীল রঙের ড্রামে ভরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অভিযুক্তরা।
গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে ওই দুটি নীল ড্রাম থেকে আশরাফুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত