
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি। নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণা করলেও জোট-সঙ্গীদের কথা ভুলে যায়নি দল; তাদের জন্য ৬৩টি আসন খালি রাখা হয়েছে।
বিএনপি সমর্থিত তিনটি জোটে মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ সাতটি দল নিয়ে গঠিত হয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। ২০ দলীয় জোট ভেঙে গঠিত হয়েছে ১২ দলীয় জোট, আর জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট নামে একত্র হয়েছে ১১টি দল।
সিপিবিসহ বাম গণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্টবিরোধী সব দলও এখন বিএনপির পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের জন্যও আসন খালি রাখা হয়েছে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনও ঘোষণা করেনি তারা বিএনপির সঙ্গে জোটে যাবে কি না।
ঢাকার সাতটি আসন বিএনপি ফাঁকা রেখেছে। এর মধ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না যে কোনো একটিতে লড়তে পারেন। অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থী:
জোনায়েদ সাকি (গণসংহতি আন্দোলন) – ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬
নুরুল হক (গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি) – পটুয়াখালী-৩
রাশেদ খান (গণঅধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক) – ঝিনাইদহ-২
সৈয়দ এহসানুল হুদা (বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান, ১২-দলীয় জোট সমন্বয়ক) – কিশোরগঞ্জ-৫
আ স ম আবদুর রব (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সভাপতি) – লক্ষ্মীপুর-৪
এছাড়া কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (এলডিপি), ড. রেদোয়ান আহমেদ (এলডিপি মহাসচিব), আন্দালিব রহমান পার্থ (বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি), ও ববি হাজ্জাজ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট) এর জন্যও আসন খালি রাখা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে যাচ্ছি। ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের প্রার্থী থাকবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করবে।”
তিনি আরও জানান, দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুর-৩, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসন থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা – ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।