রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আবারও সচল হলো বরিশাল–ঢাকা মহাসড়ক সিলেটে ৩০ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়েছে, পাশাপাশি দখল ও বিক্রয়চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে তৃপ্তির গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে জনসমুদ্র শার্শায় ৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে মাওলানা আজীজুর রহমানের শক্তিপ্রদর্শন শোকবার্তা রংপুর-৩ আসনে নির্বাচন অংশগ্রহণের প্রস্তুতি উপলক্ষে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিতা রহমান বাংলাদেশের নবায়ন যোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় বিজলী কৃষি কে অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত এলপিজি গ্যাসের দামের বিষয়ে নতুন কী জানিয়েছে বিইআরসি—জানুন বিস্তারিত! ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, পালিয়ে গেছে ধর্ষক সুজনের রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন

দুদকের মামলা: সরকারি তেল কোম্পানির ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১১৬ Time View
93

সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গার গুপ্তখাল এলাকায় অবস্থিত এসএওসিএল, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ

মামলায় আসামি করা হয়েছে—

  • ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. মোশারফ হোসেন,

  • ব্যবস্থাপক (হিসাব ও নিরীক্ষা) বেলায়েত হোসেন,

  • উপব্যবস্থাপক (হিসাব ও নিরীক্ষা) আতিকুর রহমানকে

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। কোম্পানির তৎকালীন পরিচালক মঈন উদ্দিন আহমেদ–এর মালিকানাধীন এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এওসিএল) কাছে এসএওসিএলের ১১৯ কোটি ২৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৯ টাকা পাওনা ছিল। কিন্তু সেই অর্থ ব্যাংকে জমা না করে হিসাব বইয়ে জমা দেখানো হয়। চেকগুলো ব্যাংকে জমা না দিয়েই ‘আদায় হয়েছে’ দেখানো হয়, পরে আবার ‘চেক প্রত্যাখ্যাত’ দেখিয়ে ফেরত দেখানো হয়—ফলে প্রতিষ্ঠানটির অর্থ অনাদায়ী থেকে যায়।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, পরিচালক মঈন উদ্দিন আহমেদ কোম্পানির অংশীদার হয়েও নিজের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা করেছেন, যা কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর ধারা ১০৫ অনুযায়ী অবৈধ। তবে তিনি ২০২৫ সালের ২৬ এপ্রিল মারা যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তিন কর্মকর্তা প্রতারণামূলকভাবে বিল ও ভাউচার প্রস্তুত করে স্বাক্ষর করেন এবং কোম্পানির প্রকৃত আয় গোপন রেখে ১১৯ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেন। পরে ওই অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করা হয়।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense