মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শার্শায় হ্যান্ডকাফ পরানোর সময় মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আহত অনলাইনে প্রেম কলেজছাত্রী ভারতে পাচার শাল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ মুকসুদপুরে গণপিটুনিতে গরুচোর নিহতের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার, আতঙ্কে পুরুষশূন্য চার গ্রাম সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আবারও সচল হলো বরিশাল–ঢাকা মহাসড়ক সিলেটে ৩০ একর খাসজমি উদ্ধার করা হয়েছে, পাশাপাশি দখল ও বিক্রয়চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নে তৃপ্তির গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে জনসমুদ্র শার্শায় ৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে মাওলানা আজীজুর রহমানের শক্তিপ্রদর্শন শোকবার্তা রংপুর-৩ আসনে নির্বাচন অংশগ্রহণের প্রস্তুতি উপলক্ষে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিতা রহমান

বিসিসিআই অফিস থেকে ৮ লাখ টাকার জার্সি চুরি, নিরাপত্তারক্ষী গ্রেপ্তার

স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৫৪ Time View
79

মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অবস্থিত বিসিসিআই অফিস থেকে আইপিএলের ২৬১টি জার্সি চুরির ঘটনায় এক নিরাপত্তা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম ফারুক আসলাম খান। সিসিটিভি ফুটেজে তার কর্মকাণ্ড ধরা পড়ার পরই তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। চুরিকৃত জার্সিগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় ৬.৫২ লাখ রুপি)।

চুরির বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে বিসিসিআইয়ের অভ্যন্তরীণ অডিটে, চলতি জুলাই মাসের শুরুতে স্টক পর্যালোচনার সময়। দেখা যায়, আইপিএল ২০২৫-এর বিপুল সংখ্যক জার্সি অনুপস্থিত। পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ১৩ জুন বড় একটি কার্টন নিয়ে স্টোররুম থেকে বের হচ্ছেন ফারুক। এতে সন্দেহ আরও জোরালো হয় এবং ১৭ জুলাই মেরিন ড্রাইভ থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ফারুক হরিয়ানাভিত্তিক এক অনলাইন বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান যে বিসিসিআই অফিসে সংস্কারকাজের কারণে ‘স্টক ক্লিয়ারেন্স সেল’-এর অংশ হিসেবে জার্সিগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রেতা অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি জানতেন না এগুলো চুরি করা।

জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক স্বীকার করেন, বিক্রয় থেকে পাওয়া সমস্ত অর্থ তিনি অনলাইন জুয়ায় হারিয়েছেন। এই অর্থ তিনি সরাসরি নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেন। পুলিশ এখন তার আর্থিক লেনদেন বিশ্লেষণ করছে।

এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া ২৬১টি জার্সির মধ্যে মাত্র ৫০টি উদ্ধার করা গেছে। জার্সিগুলোর মধ্যে কিছু আইপিএল দলের হলেও, সেগুলো খেলোয়াড়দের ব্যবহারের জন্য ছিল নাকি সাধারণ বিক্রির (মার্চেন্ডাইজ) উদ্দেশ্যে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হরিয়ানার বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ফারুকের বিরুদ্ধে চুরির পাশাপাশি বিশ্বাসভঙ্গের ধারায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার কিছুদিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। বিসিসিআই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তবে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কঠোর পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense