বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
“আমন ধান সংগ্রহ অভিযান নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের বদলি স্থগিত” সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল রাতে মাঠে মুখোমুখি লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ দেখবেন যেভাবে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন কে, আর জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে

মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার দাবিতে থানায় বিক্ষোভ

অনলাইন রিপোর্ট
  • Update Time : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪৭৪ Time View
ছবি : সংগৃহীত
7

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের গোলাগুলিতে এক শিশুসহ তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় নিরাপত্তা দাবি করে রাতে থানা ঘেরাও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ সময় পুলিশ দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস দেয়।

জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাদক ব্যবসায় বাধা দিলেই হামলা চালানো হচ্ছে, আর এতে অপরাধের মাত্রা বেড়ে গেছে।

এক ভুক্তভোগী জানান, “এক শিশুর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, হঠাৎ গুলি এসে আমার হাতে ও পায়ে লাগে। শিশুটিও গুলিবিদ্ধ হয়।”

স্থানীয়দের মতে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে।

তেজগাঁও জোনের এডিসি মোহাম্মদ জিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের অভিযান চলছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। জনবল ও গাড়ি কম থাকায় টহলে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আমরা এর সমাধানে অতিরিক্ত ফোর্স দিয়েছি। মোহাম্মদপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও টহল জোরদার করা হবে।”

শনিবার সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিরা এবং সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে পুলিশের কার্যক্রমে আপত্তি জানান। তারা ডিএমপির তেজগাঁও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জিয়াউল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন এবং ছিনতাই রোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এডিসি জিয়াউল হক পুলিশি ব্যর্থতা স্বীকার করে বলেন, “আমার থানায় জনবল ও গাড়ি কম আছে, কিন্তু এটি কোনো অজুহাত হতে পারে না। দায়িত্ব নিয়ে আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়াই আমার কাজ। আমি স্বীকার করছি, আমি কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছি।” তিনি সাধারণ মানুষের সহযোগিতাও চান।

ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে পুলিশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয় যে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পুলিশ ও স্থানীয়রা একসঙ্গে কাজ করে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করবে। এ সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেন ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিরা।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category