ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে

ভারতে ৩,০০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি বাতিল এবং পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ রপ্তানিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এই রিটটি দায়ের করেন। তিনি ভারত থেকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পর এই রিটটি করেছেন। রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি-রপ্তানির কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায় এবং ভারতের বিশাল জলসীমায় যথেষ্ট পরিমাণে ইলিশ উৎপাদিত হয়। এই কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতের...

2

ভারতে ৩,০০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি বাতিল এবং পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ রপ্তানিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এই রিটটি দায়ের করেন। তিনি ভারত থেকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পর এই রিটটি করেছেন। রিটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি-রপ্তানির কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে বিবাদী করা হয়েছে।

লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায় এবং ভারতের বিশাল জলসীমায় যথেষ্ট পরিমাণে ইলিশ উৎপাদিত হয়। এই কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ আমদানির প্রয়োজন নেই।

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ভারত সাধারণত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে, যেখানে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মার ইলিশ মাছ মজুত করেন। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতিতে পদ্মা নদীর ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়, এবং কখনো কখনো তা অবৈধভাবে পাচারও হয়।

লিগ্যাল নোটিশে আরও দাবি করা হয়েছে, পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচারের কারণে বাংলাদেশের জনগণ বাজারে পদ্মার ইলিশ পায় না। ফলে তাদেরকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশের স্বাদের সমান নয়।

এছাড়া, সম্প্রতি দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩,০০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা গত ২১ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়।