বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
“আমন ধান সংগ্রহ অভিযান নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের বদলি স্থগিত” সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল রাতে মাঠে মুখোমুখি লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ দেখবেন যেভাবে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন কে, আর জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে

জবি শিক্ষকের বিচার চাইলেন একই বিভাগের শিক্ষকরা

আলেকিত জনপদ ডেস্ক
  • Update Time : শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪
  • ৪৭৯ Time View
10

ফেসবুক স্ট্যাটাসে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে এবার বিচারের সুপারিশ করেছেন তার বিভাগেরই সকল শিক্ষক। বিভাগটির ১১১তম অ্যাকাডেমিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) উপাচার্য বরাবর ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আতিয়ার রহমান সাক্ষরিত অ্যাকাডেমিক কমিটির সকল শিক্ষকের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের পিএইচডি কমিটি ও ডিগ্রি প্রদান বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেন এবং তিনি বারবার ফেসবুকে এ বিষয়ে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। তার এমন মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে ড. আবুল হোসেনসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যান, গবেষক ও শিক্ষকবৃন্দের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। একই সঙ্গে ইসলামের ইতিহাস বিভাগ, নির্বাহী কমিটি, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে।

আরও উল্লেখ করা হয়, মাস্টার্স পরীক্ষার থিসিস মূল্যায়নে জালিয়াতি, কোর্স শিক্ষক হিসেবে নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অপচেষ্টা ইত্যাদির অভিযোগে ২০১৫ সালে অ্যাকাডেমিক কমিটি তাকে থিসিস গাইড, ক্লাস-পরীক্ষাসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দিয়ে অ্যাকাডেমিক কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করে। অ্যাকাডেমিক কমিটি মনে করে সেকান্দারের এরূপ আচরণ অশিক্ষকসুলভ, অনৈতিক ও অপরাধমূলক। বিভাগের সবাই তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানের প্রয়োজনীয়-ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করছে।

এর আগে ফেসবুকে অশালীন পোস্ট দিয়ে সম্মানহানি করার জন্য গত ৩০ এপ্রিল আবু সালেহ সেকান্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আবুল হোসেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকে পর বিয়ে, ফেসবুকে ভিসি, ডিন ও প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজের অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category